জল্পনা সত্যি করে লাল হলুদ জার্সি গায়ে চাপালেন মহামেডানের গোল মেশিন ডেভিড লালহানসাঙ্গা। মঙ্গলবার ইস্টবেঙ্গলের তরফে সরকারি ভাবে এই খবর জানানো হয়েছে। এদিনই ইস্টবেঙ্গল মাঠে অনুশীলন শুরু করেন তিনি।
২০২৩ কলকাতা লিগে সাড়া জাগানো ফুটবল খেলেছিলেন ডেভিড। করেন ২১টি গোল। এর পাশাপাশি ডুরান্ড কাপে ৬টি গোলের পাশাপাশি ১টি অ্যাসিস্ট ছিল তাঁর নামের পাশে। ডুরান্ডে চমৎকার পারফর্মেন্সের জন্য সোনার বুটও জেতেন তিনি। ২০২৩-২৪ আই লিগেও নিজের দক্ষতার ছাপ রাখেন এই মিজো ফুটবলারটি। ৫টি গোল করার পাশাপাশি ২টি অ্যাসিস্টও করেন তিনি।
ইস্টবেঙ্গল ক্লাব সূত্রে খবর, কলকাতা লিগ শেষের পর থেকেই ডেভিডকে দলে নেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়। মহামেডান আইলিগ জিতে আইএসএলে উঠে এলেও, সাদা কালো ব্রিগেডের থেকে ডেভিডকে ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন লাল হলুদ কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে আইএসএলে এলেও এখনও নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। ২০২৩-২৪ মরশুমে কার্লেস কুয়াদ্রাতের হাত ধরে প্রথম বার প্রথম ছয়ের লড়াইয়ে ছিল লাল হলুদ, যদিও শেষ মুহূর্তে ছিটকে যায় তাঁরা। গত কয়েকটি মরশুমের ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠে চলতি মরশুমে চ্যাম্পিয়ন শিপের লড়াই লড়ার মত টিম গঠনের উদ্যোগী হয়েছেন লাল হলুদ কর্তারা। তারজন্য কেরালা ব্লাস্টার্সের থেকে গত আইএসএলের সর্বোচ্চ গোলদাতা দিমিত্রি পেত্রাতোসকে ছিনিয়ে এনেছে ইস্টবেঙ্গল। পাঞ্জাবের হয়ে নজর কাড়া মিডফিল্ডার মাদিহ তালালকেও সই করেছে লেসলি ক্লডিয়াস সরণীর ক্লাব। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন হল ডেভিড লালহানসাঙ্গার নাম।
ডেভিডের সইয়ের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল লাল হলুদ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘আমরা বেশ অনেকদিন ধরেই ডেভিডকে দলে নেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। ডুরান্ড এবং কলকাতা লিগে ডেভিডের পারফর্মেন্স দেখার পরেই ওকে দলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। বলা যায়, তখন থেকেই আমাদের ভবিষ্যতের রণনীতির অংশ হয়ে গিয়েছিল ডেভিড।’’
মহামেডানের হয়ে তুখোড় ফুটবল খেলার জন্য জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন ২২ বছরের আক্রমণভাগের এই খেলোয়াড়টি। লাল হলুদ সমর্থকদের প্রত্যাশা, ক্লাবের পাশাপাশি আগামী দিনে ভারতীয় ফুটবল দলেরও নির্ভরযোগ্য সদস্য হয়ে উঠবেন ডেভিড।
Comments :0