Delhi rape case follow up

মাদক দ্রব্য খাইয়েই কিশোরীকে ধর্ষণ করতেন দিল্লির ওই আধিকারিক

জাতীয়

ধর্ষণের আগে প্রতিবারই কিশোরীকে মাদক মেশানো খাবার দিত দিল্লি নারী ও শিশু কল্যান দপ্তরের আধিকারিক প্রমোদয় খাকা। সোমবার খাকা ও তার স্ত্রী সীমা খাকাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যদিও তদন্তে কোনও ভাবেই সহযোগিতা করছে না খাকা এমনটাই দাবি পুলিশের। তবে নির্যাতিত ওই কিশোরির শারীরিক পরীক্ষা ও বয়ানে উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্য কিছু তথ্য। পুলিশ জানায় ২০২’তে অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয় ওই কিশোরীর বাবার। তখন তাঁর চোদ্দ বছর বয়স ছিল। বাবর আকশ্মিক মৃত্যুতে মানষিকভাবে অসুস্থ হয়ে পরে সেই কিশোরী। সেই সময় কিশোরীকে নিজের কাছে রেখে চিকিৎসা করাবেন বলে কিশোরীর মা’কে আশ্বাস দেন খাকা। ওই আধিকারিককে মামা বলেও সম্বোধন করতেন ওই কিশোরী। তারপরেই উত্তর দিল্লিতে বুরারী এলাকায় নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মাদক খাইয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন ওই ব্যক্তি।


প্রথম ধর্ষণ করেন ৩১ অক্টোবর ২০২০’তে। ফেব্রুয়ারী ২০২১ পর্যন্ত বুরারীতেই ছিল ওই কিশোরী। এর মধ্যে একাধিকবার ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে প্রেমোদয়। ফেব্রুয়ারীতে ঝাড়খন্ডে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে গিয়ে আর খাকার বাড়িতে ফেরত জাননি ওই কিশোরী। নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন ওই আধিকারিকের বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে আরও মানষিকভাবে ভেঙে পড়েছিল ওই কিশোরী। যার ফলে লেখাপড়াও আর করতে পারছে না সে জানায় তার মা। চলতি বছরের শুরু থেকেই আরও মানষিক অবসাদে ভুগতে থাকে কিশোরী। একাধিকববার অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তী করা হয়। সেখানেই তিনি মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে সমস্ত বিষয় খুলে বলেন।

Comments :0

Login to leave a comment