INFLATION BUDGET

খাদ্যে মূল্যবৃদ্ধি বড় মাথাব্যথা সরকারের, বোঝালো বাজেট

জাতীয়

চড়া মূল্যবৃদ্ধির হার সামলানোর লক্ষ্য জানাতে বাধ্য হলেন কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের বাজেটে ক্রেতা মূল্য সূচক ৪ শতাংশে বেঁধে রাখার লক্ষ্য জানিয়েছেন তিনি। তবে খাদ্যে মূল্যবৃদ্ধির লক্ষ্য আলাদা করে বলা না থাকায় বাস্তবে এই লক্ষ্য জনতার আশু সমস্যা কতটা মোকাবিলা করবে তা নিয়ে সংশয় যথেষ্ট। 
মূল্যবৃদ্ধির হার, আমজনতার বাজারের নিরিখে তৈরি ক্রেতা মূল্য সূচক বিচার করেই, অত্যন্ত চড়া। বাজেটের আগের দিন অর্থনৈতিক সমীক্ষায় তা স্বীকার করতে হয়েছে অর্থ মন্ত্রককে। তবে মূল্যবৃদ্ধির দায় অনেকাংশেই চাপানো হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের ঘাড়ে। 
সরকারি সমীক্ষাতেই দেখা গিয়েছে খাদ্যে মূল্যবৃদ্ধির হার ২০২২ অর্থবর্ষে ৩.৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৪ অর্থবর্ষে হয়েছে ৭.৫ শতাংশ। এই চড়া হার সে দেশে বিশ্বের ক্ষুধার মানচিত্রে যে ভারত রয়েছে তলানিতে। ক্ষুধা সূচকে বিশ্বের ১২৫টি দেশের মধ্যে ভারত ১১১ নম্বরে। 
এবারের বাজেটে স্বাভাবিক কারণেই নজরে থেকেছে কৃষি। গত অর্থবর্ষ ২০২৩-২৪ পর্বে কৃষির বরাদ্দও সবটা খরচ করেনি কেন্দ্র। বস্তুত বাজেটে বরাদ্দ দেখিয়ে পরে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে অর্থের জোগান। মঙ্গলবার সীতারামন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করতে পারবে এমন শস্য ফলানোর গবেষণায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। গুরুত্ব পাবে কৃষির উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর গবেষণা। 
আবার বলা হয়েছে ১ কোটি কৃষককে বেছে নিয়ে ২ বছর পর্যন্ত জৈব চাষে উৎসাহ দেওয়ার প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। 
নয়টি ক্ষেত্রকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ঘোষণা করেছে বাজেট। কৃষি, কর্মসংস্থান, সর্বাঙ্গীন বৃদ্ধি, কারখানা উৎপাদন এবং পরিষেবা, বিদ্যুৎ, পরিকাঠামো, গবেষণা এবং উদ্ভাবন। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে পরের প্রজন্মের সংস্কার গুরুত্ব পাবে।
চলতি অর্থবর্ষেই ভোট থাকায় ফেব্রুয়ারিতে ভোট অন অ্যাকাউন্ট পেশ করেছে কেন্দ্র। নতুন লোকসভা গঠনের পর বাদল অধিবেশনে পেশ হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ বাজেট। ভোটের মুখে ভোট অন অ্যাকাউন্টে কেন্দ্রকে ঘোষণা করতে হয়েছিল যে প্রধান মন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার মেয়াদ আর পাঁচ বছর থাকবে। সীতারামন বলেছেন, এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন দেশে ৮০ কোটি মানুষ। 
করোনা মহামারি এবং লকডাউনের পরিপ্রেক্ষিতে চালু হয়েছিল এই প্রকল্প। বিরোধীরা এই ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও বলেছেন বৃদ্ধির সুবিধা থেকে যে বিপুল অংশ বঞ্চিত তারও প্রমাণ এই ঘোষণা।

Comments :0

Login to leave a comment