আরজি কর কাণ্ডে প্রমাণ লোপাট হতে পারে এই আশঙ্কা প্রকাশ করে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নজরদারিতে এই তদন্ত হবে বলে জানানো হয়েছে। এদিন আরজি করে ডাক্তারি পড়ুয়ার খুন ও ধর্ষণের ঘটনার শুনানি ছিল হাইকোর্টে। মামলার শুনানি চলার সময় একাধিক বার প্রশ্নের মুখে পড়ে প্রশাসনের ভূমিকা। মামলাকারীদের পক্ষ থেকেও কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। কামদুনি কাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। অভিযোগ করা হয় যে কামদুনি কাণ্ডে একাধিক প্রমান লোপাট করেছেন তিনি। তাকে কমপালসারি ওয়েটিং-এ পাঠানোর আবেদন করা হয় মামলাকারিদের পক্ষ থেকে রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয় বুধবার তারা রিপোর্ট দেবে আদালতের কাছে। কিন্তু প্রধান বিচারপতির ডিভিসন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে আজই জমা করতে কেস ডায়রি। সেই মতো কেস ডায়রি জমা করে কলকাতা পুলিশ।
এদিন আদালতের পক্ষ থেকে রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে তাদের হাতে থাকা তথ্য প্রমান এবং সিসিটিভি ফুটেজ সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য।
হাইকোর্টের রায় সামনে আসার পর আরজি কর হাসপাতালে আন্দোলনরত পড়ুয়ারা জানিয়েছেন যে তাঁরা আদালতের নির্দেশে খুশি। তাদের দাবি, সঠিক তদন্ত করতে হবে। আসল দোষী যারা তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে। চারদিন হয়ে গেলেও কেন সব অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা গেল না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পড়ুয়ারা। উল্লেখ্য, এদিন সিবিআই তদন্তের আপত্তি জানানো হয় রাজ্যের পক্ষ থেকে।
হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনের অভিমুখ নিয়ে প্রশ্ন করা হয় আরজি কর হাসপাতালে আন্দোলনরত চিকিৎসক এবং ছাত্রছাত্রীদের। তাঁরা বলেছেন, রায়ের প্রতিলিপি হাতে এখনও আসেনি। রায় খতিয়ে দেখা হবে। সাধারণ সভা ডেকে রায় নিয়ে আলোচনা হবে। তার ভিত্তিতে ঠিক হবে আন্দোলনের গতিমুখ।
Comments :0