এই সভায় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধী ছাড়াও থাকবেন সিপিআই(এম)’র সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআই’র সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা, ঝাড়খন্ডের জেএমএম সরকারের মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, ডিএমকে নেতা তিরুচি শিভা, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা, পিডিপি নেত্রী তথা জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব প্রমুখ।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, ‘‘রামলীলার সভা থেকে লোক কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বার্তা পাঠানো হবে, বিজেপি সরকারের সময়সীমা শেষ। মানুষ আর নরেন্দ্র মোদী সরকারকে চাইছে না।’’ তিনি বলেন, ‘‘কোনও ব্যক্তিকে সামনে রেখে এই সভা নয়। বরং ইন্ডিয়া বিন্যাসের ২৭-২৮টি দলের যৌথ সভা হবে রবিবার। ইন্ডিয়া জনবন্ধনের সমস্ত দলকে স্বাগত জানানো হবে এই সভা থেকে।’’
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং ‘আপ’-র জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ইডি গ্রেপ্তার করার পর প্রতিবাদে সমাবেশের ডাক দেন বিরোধী নেতৃবৃন্দ। কংগ্রেসকে পরপর আয়কর বিভাগ নোটিস পাঠিয়েছে। কেজরিওয়ালের আগে গ্রেপ্তার করা হয় ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেনকে। শনিবারই দিল্লি সরকারের আরেক মন্ত্রী কৈলাশ গেহলটকে জেরা করেছে ইডি।
রমেশ বলেন, ‘‘এই সভা থেকে গোটা দেশের সামনে ঐক্যের বার্তা দেবেন বিরোধীরা। এই মুহূর্তে দেশের সামনে অন্যতম প্রধান ইস্যু হল ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি। পঁয়তাল্লিশ বছরের মধ্যে বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ। অর্থনৈতিক অসাম্য বাড়ছে। এই জ্বলন্ত ইস্যুগুলি থেকে নজর ঘোরাতেই ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতি করছে বিজেপি।’’
রমেশ বলেছেন, ‘‘স্বাধীনতার পরে দেশের সর্ববৃহৎ দুর্নীতি হল নির্বাচনী বন্ড। এই দুর্নীতির মাধ্যমে ৮২০০ কোটি টাকা আয় করেছে বিজেপি। বিরোধীরা যখন এর বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন, তখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করে বিরোধীদের কন্ঠরোধের চেষ্টা চলছে। তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার চেষ্টা চলছে। বিজেপি ভাবছে এই ভাবে বিরোধীদের সাংগঠনিক ও আর্থিক ভাবে পঙ্গু করে দেবে। কিন্তু সেটা হওয়ার নয়। সাধারণ মানুষ এর বিরুদ্ধে ভোটের বাক্সে জবাব দেবেন।’’ রমেশের সংযোজন, শুক্রবার কংগ্রেসকে আরও ২টি নোটিশ পাঠিয়েছে আয়কর বিভাগ। কর সন্ত্রাসবাদ চালাচ্ছে বিজেপি। এর বিরুদ্ধেও রবিবার সরব হবেন বিরোধীরা।
Comments :0