UNEMPLOYMENT

রেকর্ড করল দেশের বেকারত্বের হার

জাতীয়

unemployment india ruralurban bjp congress bengali news

২ বছরের নিরিখে শিখর ছুঁয়েছে ভারতের বেকারত্বের হার। একটি বেসরকারি গবেষণা সংস্থার রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে এমনটাই জানিয়েছে ইকোনমিক টাইমস। 

সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি বা সিএমআইই’র রিপোর্টকে হাতিয়ার করে নিজেদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইকোনমিক টাইমস। সেই সংস্থা জানাচ্ছে, অক্টোবর মাসে দেশের সার্বিক বেকারত্বের হার ১০.০৫ শতাংশ। সেপ্টেম্বর মাসে এই হার ছিল ৭.০৯ শতাংশ। ২০২১ সালের মে মাসের পরে গোটা দেশে বেকারত্ব এই পর্যায় পৌঁছয়নি। এই সময়ে গ্রামীণ বেকারত্বের হার ৬.২ শতাংশ থেকে ১০.৮২ শতাংশে পৌঁছেছে। যদিও শহরে বেকারত্বের হার তুলনায় ভাল- ৮.৪৪ শতাংশ। 

সিএমআইই’র রিপোর্ট বলছে, গত পাঁচ বছরের তুলনায় চলতি বছরে বর্ষাকালে বৃষ্টিপাতের হার সর্বনিম্ন ছিল। আবহাওয়াবিদরা এরজন্য প্রাকৃতিক চক্র ‘এল নিনো’ এবং জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন। বৃষ্টিপাতের ঘাটতির ফলে ভারতে ধান, গম এবং আঁখ উৎপাদনে ঘাটতি দেখা গিয়েছে। তারফলে কৃষিক্ষেত্রে নিয়োগের হারও কমেছে। তুলনায় শহরাঞ্চলের অর্থনীতি একই হারে সচল থাকায় বেকারত্বের হারে খুব বিশেষ তারতম্য ঘটেনি। 

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে প্রতি বছর বেকারত্বের হার প্রকাশ করা হয়। শহর এলাকার বেকারত্বের হার যদিও চার মাস অন্তর প্রকাশিত হয়। অক্টোবরে প্রকাশিত সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২-২৩ সালে সারা দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৩.২ শতাংশ। সরকারি তথ্য থেকেই স্পষ্ট, সাম্প্রতিক সময়ে লাগামছাড়া হারে বেড়েছে কর্মহীনের সংখ্যা। 

কেন্দ্রের দাবি, চলতি আর্থিক বর্ষে ভারতীয় অর্থনীতি ৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই হারে অর্থনীতি সচল থাকলে যথেষ্ট পরিমাণে কাজের সুযোগ তৈরি করা সম্ভব নয়। সিএমআইই’র তথ্য বলছে, কেবলমাত্র অক্টোবর মাসে ১ কোটি মানুষ কর্মজগতে প্রবেশ করেছেন। কিন্তু সেই পরিমাণ নতুন কাজের সুযোগ তৈরি হয়নি। তারফলে কয়েকলক্ষ যুব ইতিমধ্যেই বেকারের খাতায় নাম লিখিয়েছেন। 

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ইনফোসিস এবং উইপ্রো জানিয়েছিল, তাঁরা আর সদ্য ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা পড়ুয়াদের নিয়োগ করবে না ক্যাম্পাসিংয়ের মাধ্যমে। তারফলে এই পড়ুয়াদের মধ্যে বেকারত্বের হার স্বাভাবিক ভাবেই বৃদ্ধি পেতে চলেছে। 

এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে কড়া আক্রমণ শানিয়েছেন কংগ্রেসের অন্যতম শীর্ষনেতা জয়রাম রমেশ। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া এক্সে লিখেছেন, ‘‘দেশ জুড়ে একশো দিনের কাজের চাহিদা গত বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর থেকেই অর্থনীতির অবস্থা আন্দাজ করা যায়। কোভিডের আগে, ২০১৯ সালেও বেকারত্ব মাথাচাড়া দিয়েছিল। সরকার যাই দাবি করুক, পরিসংখ্যান বলছে পরিস্থিতি ২০১৯ সালের থেকেও ভয়াবহ।’’

রমেশ আরও লিখেছেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রীত্বের স্মারক হল রেকর্ড বেকারত্ব। এই সরকার এই তথ্য ঢাকার জন্য যে কোনও স্তরে নামতে পারে। তারজন্য প্রয়োজনীয় মিথ্যাচার, এই বিষয় থেকে নজর ঘোরানো, তথ্য কাটাছেঁড়া করা- কোনও কিছুই বিজেপি বাদ দেবেনা। কিন্তু দেশের যুব সমাজ সত্যিটা জানতে পেরে গিয়েছে। নরেন্দ্র মোদী’র প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অবসর নেওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে।’’

Comments :0

Login to leave a comment