শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও দশ দিনের জেল হেপাজত হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও তৃণমূল নেতা পার্থ চ্যাটার্জির (Partha Chatterjee)। জেল হেপাজতের মেয়াদ বেড়েছে এসএসসি’র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গাঙ্গুলির। আলিপুরের বিশেষ সিবিআই (CBI Court) আদালত এদিন এই রায় দেয়। আগামী ২২ ডিসেম্বর (22 December) পরবর্তী শুনানির দিন। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আইনজীবী আদালতে তাঁর জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু শুরু থেকেই বিরোধিতা করে সিবিআই। বিচারপতি সিবিআই’র আবেদন মেনে পার্থর জামিনের আবেদন খারিজ করে।
এদিকে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আদালতে বিস্ফোরক তথ্য পেশ করেছে ইডির। চার্জশিটে বেসরকারি বিএড (BED) , ডিএলএড (BLED) ও টিচার্স ট্রেনিং কলেজকে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ দিতে টাকা নিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ওই সব কলেজ প্রতি ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা করে নিয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, চার্জশিটে এমনই দাবি করেছে ইডি। এই টাকার আবার ভাগ বিলি হতো।
ইডির (ED) দাবি, 'প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য পেতেন ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকা করে। তাঁর সহযোগী তাপস মণ্ডলই প্রাথমিকভাবে ফান্ড সংগ্রহ করতেন। পরে সেই ফান্ডের টাকা পাঠানো হত মানিক ভট্টাচার্যের কাছে। মানিকের মাধ্যমে সেই টাকা আবার পৌঁছে যেত তৃণমূলের ওপর তলার নেতাদের মধ্যে । অফলাইনে রেজিস্ট্রেশনের নামে মোট ২০ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে বলে চার্জশিট জমা করেছে ইডি।
এর আগেই পেশ চার্জশিটে পার্থ চ্যাটার্জিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ‘মাস্টারমাইন্ড’ এবং মানিক ভট্টাচার্যকে ‘কিংপিন’ বলেছে সিবিআই।
Comments :0