দীপশুভ্র সান্যাল, জলপাইগুড়ি
বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা নিযুক্ত হয়েছেন। দায়িত্ব নিয়েছেন অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুস। কিন্তু অস্থিরতা কাটেনি। তার জেরে জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলা লাগোয়া ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের গ্রামে বহু মানুষ আসছেন আশ্রয়ের জন্য।
ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা মোট ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার, যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে ৯৩৮ কিলোমিটার। তারই একটি অংশ জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত সাউথ বেরুবাড়ি অঞ্চলের সাতকুরা, ধর ধরা গ্রাম।
এই সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে আশ্রয়ের খোঁজে আসা বিপন্নরা জানিয়েছেন যে তাঁরা নিপীড়িত, অত্যাচারিত। তাঁদের বেশিরভাগই সংখ্যালঘু। তবে অন্যত্র আসতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অপসারিত শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগের নেতাকর্মীদেরও।
বিএসএফ সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে নজরদারি চালাচ্ছে। পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হলেও অনুপ্রবেশ আটকানোর নীতি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। পুরনো কাঁটা তারের বেড়ার পরিবর্তে অতি মজবুত এবং উচ্চতায় বেশি ‘স্মার্ট ফেন্সিং’ বসাতে নেমেছে। কিন্তু তাতে পরিস্থিতি উদ্বেগজনকই রয়েছে।
তবে দক্ষিণ বেরুবাড়ি ধরধরা গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ বলছেন যে এই সুযোগে ভালো ফেন্সিং হলে চোরাচালান কমতে পারে। সেক্ষেত্রে গ্রামবাসীদের নিরাপত্তা বাড়বে। বাসিন্দা সুশীল রায় বলেন, ‘‘এই বেড়া লাগানোর কাজ শেষ হলে নিরাপত্তা বাড়বে, অনুপ্রবেশ আটকাবে।’’
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়ে ইস্টার্ন কমান্ডের এডিজি-বিএসজি’র নেতৃত্বে কমিটি গড়েছে ভারত। এর মধ্যে বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদে আসীন হওয়ার পর মহম্মদ ইউনুসকে শুভেচ্ছা জানিয়ে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো দাবি তুলেছে যে কেন্দ্রের সরকারকে নির্দিষ্ট করে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলতে হবে বাংলাদেশকে।
Comments :0