দেশের মতো মহারাষ্ট্রের মানুষও বিজেপি’র তোড়ফোড় রাজনীতিকে মেনে নেননি। নির্বাচনের ফলাফলে তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। নির্বাচনী ফলের বিশ্লেষণে এই মন্তব্য করেছেন সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য অশোক ধাওলে।
দেশের যে যে রাজ্যে নজর ছিল তার অন্যতম মহারাষ্ট্র। ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের দলগুলি রাজ্যের মোট ৪৮ আসনের মধ্যে ৩০টিতে জয়ী হয়েছে। কংগ্রেস সবচেয়ে বেশি আসন ১৩ আসন পেয়েছে একাই। গতবারের ফল প্রায় উলটে গিয়েছে।
এই নির্বাচনে সরাসরি প্রভাব পড়েছে কৃষক বিক্ষোভের। সিপিআই(এম) নেতা এবং রাজস্থানের কৃষক আন্দোলনের মুখ অমরা রাম জয়ী হয়েছেন সিকর থেকে। তামিলনাডুর দিন্ডিগুল থেকে জয়ী আর সচিথানন্তমও সারা ভারত কৃষক সভার নেতা। সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি ধাওলে বলেছেন, ‘‘লখিমপুর খেরিতে কৃষক-হত্যা করেছিল যে অজয় মিশ্র টেনি, তাকে হারতে হয়েছে। আরও একটি বড় বিষয় যে অযোধ্যার রামমন্দির যে কেন্দ্রে, অযোধ্যার ফৈজাবাদে, হেরেছে বিজেপি।’’
ধাওলের বিশ্লেষণ, ধর্মকে হাতিয়ার করে বিভাজনের রাজনীতি হেরেছে। কর্পোরেট তন্ত্র চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে রুজির লড়াই সংগঠিত হতে পারলে জয় আদায় করে নিয়েছে। মহারাষ্ট্রে কৃষক আত্মহত্যা, পেঁয়াজ চাষীদের দাম না পাওয়ার সঙ্কট সরাসরি প্রভাব ফেলেছে ভোটে।
ধাওলের বক্তব্য, যেভাবে কোলে থাকা সংবাদমাধ্যম, যাকে দেশের মানুষ বলছেন ‘গোদী মিডিয়া’, দিয়ে মিথ্যা প্রচার চলেছে, তার বিরুদ্ধেও জনমত সরব হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘‘আম্বানি এবং আদানির কেনা সব সংবাদগোষ্ঠীর ভূমিকা লজ্জাজনক বললেও কম বলা হয়। দশ বছর বিজেপি’র শাসনে এদের ন্যূনতম স্বকীয়তা দেখানোর সাহস ছিল না। নির্বাচনী প্রচারের সময় তো তলানিতে ঠেকেছে সংবাদমাধ্যম।’’
কর্পোরেট সংবাদমাধ্যমে মোদীর প্রচারকেই একমাত্র সত্য দেখানোর চেষ্টায় একের পর এক প্রতিবেদন প্রচার করা হয়েছে। সরকারকে সমালোচনার সাহস দেখাতে পারেনি কোনও সংবাদমাধ্যম।
ASHOK DHAWALE LOK SABHA
তোড়ফোড়ের রাজনীতিকে হারিয়েছে রুজির লড়াই, বলছেন কৃষকনেতা
×
Comments :0