শ্রদ্ধা নয়, মঙ্গলবার রাতের ঘটনার পর হাথরাসের ভোলে বাবার প্রতি নিজেদের রাগ এবং ঘৃনা প্রকাশ পাচ্ছে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি থাকা ভক্তদের কথা থেকে। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাসপাতালের বেডে শুয়ে এক বৃদ্ধা বলেন, ‘‘ভোলে বাবার যদি সত্যি কোন ক্ষমতা থাকলে তিনি এখানে এসে আমাদের সুস্থ করে তুলুক। আমাদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিক।’’
হাথরাসের এক বাসিন্দা বিনোদ তার বাড়িতে থাকা ভোলে বাবার ছবি ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছেন। মঙ্গলবারের ঘটনায় পদপিষ্ট হয়ে তার পরিবারের সব সদস্য মারা গিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি কাজের জন্য বাইরে গিয়েছিলাম। বাড়ি এসে ঘটনার কথা জানতে পারি। ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে দেখি আমার মা, স্ত্রী এবং কন্যা মারা গিয়েছেন পদপিষ্ট হয়ে।’’
এই ঘটনার তদন্তের জন্য যোগী সরকারের পক্ষ থেকে সিট গঠন করে হয়েছে। এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, তাতে ধর্মগুরু ভোলে বাবার কোন নাম নেই বলে জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার প্রবল গরমের মধ্যে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল ‘ভোলেবাবা’ ওরফে নারায়ণ সাকার হরি এবং তাঁর লোকজন। অপরিসর জায়গা, তার মধ্যে বিপুল ভিড়। আবার ‘ভোলেবাবা’র গাড়ি না বেরনো পর্যন্ত বাইরে পা রাখতে পারবেন না ভক্তরা — এই ফতোয়াও জারি ছিল। ফলে ভিড় করে দাঁড়িয়ে ছিলেন ভক্তরা, অপেক্ষা করছিলেন। ১৩০ জন পদপিষ্ট হয়ে মারা যান।
Comments :0