Supreme Court dismiss Bilikis Banu appeal

সুপ্রিম কোর্টে খারিজ বিলকিস বানুর আবেদন

জাতীয়

শীর্ষ আদালতে শনিবার খারিজ হয়ে গেলো বিলকিস বানুর আবেদন। বিলকিস বানু ধর্ষণ কাণ্ডে অপরাধী ১১ জনের মুক্তির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেছিলেন বিলকিস। কিন্তু শনিবার বিলকিস বানুর সেই আবেদন কারিজ করে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।

২০০২’এ গুজরাট গণহত্যার অন্যতম মারাত্মক ঘটনা বিলকিস বানুর ধর্ষণ। তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে উন্মত্ত বাহিনী।  এমনকি রেহাই দেওয়া হয়নি শিশু সন্তানকেও। সুপ্রিম কোর্টে বিলকিস বানুর পক্ষে দু’টি আবেদন দায়ের হয়েছিল  অপরাধীদের  সাজার মেয়াদ শেষের আগে মুক্তি দেওয়ার বিরুদ্ধে। এদিন খারিজ হয়েছে মুক্তির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন। অপর আবেদনে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া মে মাসের নির্দেশের ভিত্তিকই চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে। সেই মামলা যদিও এদিনের রায়ে খারিজ হয়নি।  

চলতি বছরের মে’তে বিলকিস বানু ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ১১ জনের মুক্তির আবেদন বিবেচনা করার পক্ষে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। গুজরাট এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকার মুক্তির পক্ষে ভূমিকা নেয়। রাজ্য সরকারের আবেদনে সায় ছিল অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের।  রাজ্য এবং কেন্দ্রের তৎপরতায় ১৫ আগস্ট, স্বাধীনতা দিবসের দিন, অপরাধী ১১ জনকে মুক্তি দেয় গুজরাটের বিজেপি সরকার। 

উল্লেখ্য, অভিযুক্তের একজন মুক্তি চেয়ে শীর্ষ আদালতের দারস্থ হয়। আদালতে ১৯৯২ সালের একটি নির্দেশে  ধর্ষণ এবং হত্যায় অভিযুক্ত হলেও বিশেষ কিছু শর্তে সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে মুক্তির ব্যবস্থা ছিল। এখন চালু আইনে সেই সংস্থান নেই।  এই ১১ জনকে মুক্তি দেওয়া হয় কারাবাসের পর্বে ‘সদ্বব্যবহারের’ যুক্তি দেখিয়ে। মুক্তির পরই গুজরাটে বিজেপি’র তরফে সরাসরি অপরাধীদের স্বাগত জানানো হয়। বিজেপি’র মেরুকরণের ভাষ্যে ইন্ধন জুগিয়েছে এই ঘটনা।

প্রসঙ্গত যেই ‌আইনের ভিত্তিতে রাজ্য সরকার দোষীদের মুক্তির আর্জি জানায় বর্তমানে তার সংশোধীত রূপে উল্লেখ রয়েছে যে খুন এবং দলবদ্ধ ধর্ষনে অপরাধী বা অভিযুক্তদের কোন ভাবে শাস্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে মুক্তি দেওয়া যাবে না। কিন্তু আদালতে গুজরাট সরকারের যুক্তি ছিল যে ২০০৮ সালে যখন ১১ জন অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় তখন ওই আইন সংশোধন হয়নি।

২০০২ সালে গণহত্যার সময় বিলকিস বানুর চোখের সামনে তাঁর তিন বছর বয়সী মেয়েকে এবং পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে খুন করা হয়। প্রথমে গুজরাটে এই মামলার শুনানি শুরু হলেও পরে বিলকিসের আবেদন মেনে মুম্বাইয়ে সিবিআই’র বিশেষ আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া পাঠিয়ে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেখানে ১১ জন অভিযুক্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়।

গুজরাটে ভোটের আগে বিজেপি’র বিধায়ক অভিযুক্তদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের ‘সংস্কারি ব্রাহ্মণ’ বলা হয়। 

Comments :0

Login to leave a comment