উষ্ণায়নের দিন শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন ফুটন্ত কড়াইয়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব। অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বে গোটা মানব প্রজাতি।
বৃহস্পতিবার এমনই কাতর আর্তি শোনা গেল রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুটিরেজের গলায়।
প্রসঙ্গত, গোটা উত্তর গোলার্ধ ২০২৩’র গ্রীষ্মে কার্যত জ্বলছে। ইউরোপ এবং আমেরিকা জুড়ে বইছে তাপপ্রবাহ। বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে গুটিরেজকে এই বিষয় নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন। তাঁর উত্তরে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব বলেন, ‘‘চলতি বছর অত্যন্ত নিষ্ঠুর গ্রীষ্মের মুখোমুখি হয়েছে উত্তর গোলার্ধ। রাতারাতি ‘মিনি আইস এজ’ বা ছোটখাটো তুষার যুগ না এলে চলতি বছরের জুলাইয়ের গরম রেকর্ড সৃষ্টি করবে।’’
এরসঙ্গেই তিনি যোগ করেন, ‘‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রকোপ এখন দিনের আলোর মত স্পষ্ট। এটা কেবল শুরুয়াত। বিশ্ব উষ্ণায়ন এখন অতিত। আমরা কার্যত ফুটন্ত কড়াইয়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি।’’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এর সমাধান হিসেবে মহাসচিব বলেছেন, পরিস্থিতি বদলাতে রাষ্ট্রীয় নেতাদের যত দ্রুত সম্ভব পদক্ষেপ নিতে হবে। খনিজ জ্বালানির ব্যবহারে রাশ টানতেই হবে। আমাদের হাতে সময় নেই বললেই চলে। জল, বায়ু মানুষের ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছেনা।’’
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে জলবায়ু পরিবর্তন রুখতে ‘ক্লাইমেট অ্যাম্বিশন সামিট’র আয়োজন করা হবে। সেই প্রসঙ্গে গুটিরেজ বলেছেন, সামিটে উন্নত দেশগুলিকে আহ্বাণ জানানো হবে ২০৪০ সালের মধ্যে ‘কার্বন নিউট্রালিটি’ অর্জন করার। উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য লক্ষ্যমাত্রা রাখা হবে ২০৫০ সালকে।
প্রসঙ্গত, মোট কার্বন নির্গমনের পরিমাণ শূন্যে পৌঁছলে তাকে কার্বন নিউট্রালিটি বলা হয়।
Comments :0