ভরা রবি মরশুমে হয়েছে বৃষ্টি। খরিফের ধান তোলার পর বসানো হয়েছে আলু। বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ এবং তার জের বৃষ্টি হয়ে এ সময়েই। আলু চাষের জমি ভরা রয়েছে জলে। ক্ষতির আশঙ্কায় বলাগড়ের আলু চাষিরা।
হুগলি জেলায় এবার ৯১ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তার পঞ্চাশ শতাংশ জমিতে আলু বসানো হয়ে গেছে। খরিফের ধান তুলে আলু বসানোর কাজ চলছে সিঙ্গুর, হরিপাল, পোলবা-দাদপুর,পান্ডুয়া, ধনিয়াখালি, বলাগড়, তারকেশ্বর সহ বিভিন্ন ব্লকে। কনকনে ঠান্ডায় গাছ বড় হয় আর মাটির তলায় আলু বাড়তে থাকে। এই সময় বৃষ্টি হলে আলু চাষে ক্ষতি হয়।
অনেক কৃষকই এসময় ঋণ নিয়ে আলু চাষ করেন। আলু জমিতে দীর্ঘ সময় জল জমে থাকলে মাটির তলায় থাকা আলু পচে যাবে। জমি ভিজে থাকায় আবার আলু চাষের উপযুক্ত করতে সময় লাগবে। ফলে আলু চাষ পিছিয়ে যাবে। চাষ পিছিয়ে গেলে ফলন মার খাবে, আশঙ্কায় চাষিরা।
কৃষক সমিতির নেতা পরিতোষ ঘোষ বলেন, ‘‘সারের দাম আকাশ ছোঁয়া। আর এই অকাল বৃষ্টির ফলে জমিতে থাকা আলু, পেঁয়াজ, ধান, শীত কালীন ফসল সব নষ্ট হয়ে গেছে। বলাগড় ব্লকে এখনো ৩০ শতাংশ জমিতে ধান থেকেই গেছে। ব্যাঙ্ক আর মহাজনের থেকে চাষিরা যে টাকা লোন নিয়েছে তা পরিশোধ না করতে মাঠে মারা পড়বেন।’’
প্রতি বিঘা আলু চাষে কুড়ি হাজার টাকার বেশি খরচ হয়েছে। কৃষক সভার দাবি, কৃষকদের নতুন করে বীজ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
হুগলি জেলা কৃষি উপ অধিকর্তা প্রিয়লাল মৃধা জানান, ‘‘এখনই ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করা যাবে না। বৃষ্টি থামলে দেখতে হবে।’’
BALAGARH POTATO WEATHER
মাঠে জল, ক্ষতির মুখে বলাগড়ের আলুচাষিরা, বীজ দেওয়ার দাবি কৃষকসভার
×
Comments :0