PANCHAYAT ELECTION 2023

আইনী জটিলতা সত্ত্বেও বোর্ড গঠনের তৎপরতা রাজ্যের

রাজ্য

CPIM BJP RSS TMC WEST BENGAL POLITICS BENGALI NEWS 2023 PANCHAYAT ELECTION

বৃহস্পতিবার রাজ্যের যুগ্মসচিব রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসক এবং ব্লকস্তরের পঞ্চায়েত নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, ১৭ আগস্টের মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদগুলির বোর্ড গঠনের কাজ সেরে ফেলতে হবে। এই নির্দেশিকা সামনে আসতেই উঠছে একগুচ্ছ প্রশ্ন। 

সিপিআই(এম)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রবীন দেব জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে তৃস্তরীয় পঞ্চায়েতের অধিকাংশ বোর্ড গঠিত হয় আগস্টের শেষে এবং সেপ্টেম্বর মাসে। সেই হিসেব অনুযায়ী, এখনও দেড় মাসের আগে তৃস্তরীয় পঞ্চায়েতে নতুন কোনও বোর্ড গঠন করা সম্ভব নয়। বোর্ড গঠন করতে গেলে ভেঙে দিতে হবে আগের বোর্ডগুলিকে। তা কখনোই বাঞ্ছনিও নয়। কিন্তু তারপরেও রাজ্যের তরফে দ্রুত পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের কথা বলা হয়েছে। 

এই প্রসঙ্গ তুলে ধরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে সিপিআই(এম)’র তরফে। এর পাশাপাশি সিপিআই(এম)’র তরফে অপর একটি বিষয়েও সামনে আনা হয়েছে। 

কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে ১২ জুলাই রাজ্যের তরফে জেলায় জেলায় নির্দেশিকা পাঠিয়ে বলা হয়, নতুন করে কাউকে জয়ীর সংশাপত্র দেওয়া যাবেনা। গণনা কারচুপির প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট এমনই নির্দেশ দিয়েছিল। তারফলে তিনটি স্তর মিলিয়ে কয়েক হাজার জয়ী প্রার্থী এখনও জয়ের শংসাপত্র পাননি। 

সিপিআই(এম)’র তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, এই বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। সেই বিচারাধীন বিষয়ের মীমাংসা হওয়ার আগেই কীভাবে এমন নির্দেশ জারি করতে পারে রাজ্য প্রশাসন? 

এই আইনী জটিলতা রাজ্যের অজানা নয়। কিন্তু তারপরেও কেন সরকারের তরফে বোর্ড গঠনের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে? সরকারি আধিকারিকদের একটা অংশ জানাচ্ছে, বোর্ড গঠনে দেরি হলে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ আসতেও দেরি হবে। কিন্তু তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীদের সিংহভাগ হয় টাকা দিয়ে টিকিট কিনেছেন, নয়ত কারচুপি করে ভোটে জেতার জন্য বিপুল অর্থ ব্যায় করেছেন। তাঁরা চাইছেন যত দ্রুত সম্ভব, সেই লগ্নি ঘরে ফেরাতে। সেই মত তৃণমূলের উপরেও চাপ বাড়ছে। সেই কারণেই মুখ্যসচিব ভিডিও কনফারেন্স করে যত দ্রুত সম্ভব বোর্ড গঠনের কথা বলছেন। 

Comments :0

Login to leave a comment