আবাস যোজনায় যে সকল পরিবারের নাম তালিকাভুক্ত হওয়া উচিত ছিল, অথচ তাদের নাম প্রশাসনিক ব্যর্থতার কারণে তালিকাভুক্ত হয় নি। সেই সকল পরিবারের নাম তালিকাভুক্ত করতেই হবে। আবাস যোজনায় যে সকল পরিবার তালিকাভুক্ত ও অনুমোদিত হওয়ার যোগ্য নয়, অথচ প্রশাসনিক ব্যার্থতার কারণে তালিকাভুক্ত হয়েছে এবং অনুমোদিত হয়েছে এবং রেজিস্ট্রেশন হয়েছে, তাদের নাম বাদ দেওয়ার দাবি সহ অন্যান্য একগুচ্ছ দাবি নিয়ে বৃহস্পতিবার সিপিআই(এম) সন্দেশখালি- ২ নং এরিয়া কমিটি ও বাদুড়িয়া-১ ও ২ নং এরিয়া কমিটির উদ্যোগে বাদুড়িয়া বিডিও এবং সন্দেশখালি- ২ নং বিডিও অফিসে প্রতিবাদ মিছিল, অবস্থান, বিক্ষোভ সভার মধ্যে দিয়ে ডেপুটেশন দেওয়া হয়।
সন্দেশখালি- ২ নং বিডিও অফিস চত্বরের বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টির নেতা পলাশ দাস, নিরাপদ সর্দার ও সুভাষ সর্দার আনন্দময় মন্ডল। সভাপতিত্ব করেন সন্তোষ বিশ্বাস। ৯ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয় বিডিও অর্নব মুখার্জির কাছে। অন্যদিকে বাদুড়িয়ায় ঈশ্বরীগাছা থেকে মিছিল হয় বিডিও অফিস পর্যন্ত। সেখানে বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টি নেতা গার্গী চ্যাটার্জি, মহম্মদ সেলিম গায়েন, রাজু আহমেদ, অনিমেষ মুখার্জি, শঙ্কর ঘোষ, মানিক বিশ্বাস সভাপতিত্ব করেন গোলাম মণ্ডল।
৮ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয় বিডিও সুপর্না বিশ্বাসের কাছে। স্মারকলিপিতে উল্লেখিত দাবিগুলি হলো ষাটোর্ধ ব্যক্তিদের নামের তালিকা করে, যারা বার্ধক্য ভাতা পাওয়ার যোগ্য তাদের সকলকে ভাতা দিতে হবে। মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা প্রকল্পে অভিযোগের তদন্ত করতে হবে। জনতথ্য অধিকার আইন ২০০৫ অনুযায়ী আবেদন জমা দেওয়া সত্ত্বেও যদুরহাটি উত্তর ও দক্ষিণ, আটুরিয়া , চন্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তথ্য আধিকারিক দেয় নি।অবিলম্বে তা দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে। লক্ষ্মীনাথপুর ব্রীজ অবিলম্বে চালু করতেই হবে।
মাসকাটা,পদ্মা , যমুনা খাল ও ইছামতি নদী সংস্কার করতে হবে। যে সকল পরিবার আবাস যোজনায় তালিকা ভুক্ত হওয়ার যোগ্য অথচ তালিকা ভুক্ত করা হয় নি। তাদের নূতন করে সার্ভে করে তালিকা ভুক্ত করতে হবে। অন্যদিকে সন্দেশখালি -২ নং বিডিও'র কাছে জমা দেওয়া স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় ব্লক অফিস লাগোয়া পি উব্লিউ ডি রোড সংলগ্ন নিকাশি ভরাট করে কে বা কারা পাকাবাড়ি তৈরি করছে তা জানাতে হবে এবং অবিলম্বে এই বেআইনি কাজ বন্ধ করতে হবে। দ্বারিরজঙ্গল মৌজায় সরকারি স্লুইসগেট দিয়ে নোনা জল ঢুকিয়ে মেছোঘেরি করায় কৃষকদের চাষে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
অবিলম্বে নোনা জল ঢোকানো বন্ধ করতে হবে।১০০ দিনের বকেয়া টাকা দিতে হবে। ৪০০০ টাকা কুইন্ট্যাল দরে ধান কিনতে হবে কৃষকদের কাছ থেকে। বারবার আবেদন করলেও পাট্টা প্রাপকদের জমির রেকর্ড করা হচ্ছে না। অবিলম্বে তার ব্যবস্থা করতে হবে ইত্যাদি।
Comments :0