ফাঁসির বদলে অন্য পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের কথা বিবেচনা করছে কেন্দ্র। ফাঁসি দিয়ে মৃত্যুদণ্ড নিয়ে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এই অবস্থানের কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থবাহী মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে ফাঁসির পদ্ধতি বিলোপ করে বিকল্প পদ্ধতিতে তা কার্যকরে ব্যবস্থা গ্রহণে কেন্দ্রকে নির্দেশ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। ফাঁসিতে মৃত্যুদণ্ড যন্ত্রণাদায়ক হওয়ায় বিকল্প পথে যন্ত্রণাহীন মৃত্যু পদ্ধতি গ্রহণের আবেদন জানানো হয়। এনিয়ে কেন্দ্রের অবস্থান জানানোর নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এদিন কেন্দ্র এতে তার অবস্থান উল্লেখ করতে গিয়ে জানিয়ে দিয়েছে ফাঁসির বদলে বিকল্প কোন পথে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যায় তা খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের কথা বিবেচনা করছে কেন্দ্র।
প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। এনিয়ে আদালতের গ্রীষ্মকালীন অবকাশ শেষে ফের শুনানি হবে।
মৃত্যুদণ্ডে ফাঁসির বিকল্প পদ্ধতি নিয়ে আগেও আদালতে আলোচনা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট এবিষয়ে মতামত গ্রহণে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনে কেন্দ্রকে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ দেন। এছাড়াও ফাঁসিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যুর নির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দেয়। এদিকে জনস্বার্থবাহী মামলায় আইনজীবী ঋষি মালহোত্রা ফাঁসির পদ্ধতি বদলের আবেদন জানিয়ে বলেন, সংবিধানে সম্মানজনক মৃত্যু নাগরিকের মৌলিক অধিকার বলা হয়েছে।
সেখানে ফাঁসিতে মৃত্যু এক যন্ত্রণাদায়ক সম্মানহীন মৃত্যু। তা সংবিধানের নাগরিকের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করছে। তাই নাগরিকের সংবিধানিক মৌলিক অধিকার রক্ষায় যন্ত্রণাদায়ক ফাঁসিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর পদ্ধতি অবিলম্বে বাতিল করা উচিত। মালহোত্রা আরও জানান, এই ফাঁসি কার্যকর হতে ৪০ মিনিট সময় লাগে। এই ৪০ মিনিট হলো যন্ত্রণাদায়ক অবস্থায় ছটফট করে এক বিভৎস মৃত্যু। যা কেন সভ্য সমাজে বাঞ্ছিত নয়। যদি বন্দুকের গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় তাতে এক মিনিটের বেশি সময় লাগে না। ইঞ্জেকশনের মৃতূ্দণ্ড কার্যকরে সময় লাগে ৫ মিনিট। বিভিন্ন পদ্ধতি উল্লেখ করে মালহোত্রা বলেন এর মধ্যে থেকে কম যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যুদণ্ডের পদ্ধতি বেছে নেওয়া যেতে পারে।
Comments :0