বজরঙ্গ দল এবং পিএফআই, ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক হাঙ্গামার বহু অভিযোগে বিদ্ধ দুই সংগঠনের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছিল কংগ্রেস। প্রচারের কেন্দ্রে ছিল রাজ্যে বিজেপি সরকারের দুর্নীতি। ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের প্রায় সর্বত্র কংগ্রেসের অবস্থানে সম্মতি জানিয়েছেন কর্নাটকের জনতা।
উপকূলবর্তী অঞ্চল ছাড়া কর্নাটকের বাকি সর্বত্র আধিপত্য বজায় রাখল কংগ্রেস। রাজধানী বেঙ্গালুরু সংলগ্ন অঞ্চলেও বিজেপি’র সঙ্গে সমানে সমানে টক্কর দিয়েছে কংগ্রেস। শহুরে যে এলাকায় বিজেপি’কে বেশিরভাগ নির্বাচনেই এগিয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে।
বেঙ্গালুরুর মোট ২৮টি বিধানসভা আসনে দু’দলেরই আসন সমান, ১৪। তেলেঙ্গানা লাগোয়া এলাকা বা হায়দরাবাদ কর্নাটক অঞ্চলে ৪০ আসনের মধ্যে কংগ্রেস এগিয়ে ২৬টিতে, বিজেপি এগিয়ে ১২ আসনে।
মহারাষ্ট্র সংলগ্ন অঞ্চল বা মুম্বাই কর্নাটকের ৫০ আসনের মধ্যে কংগ্রেস এগিয়ে ৩৩ আসনে, বিজেপি ১৬ আসনে।
শনিবার বেলা দু’টো নাগাদ প্রবণতা দেখাচ্ছে উল্ড মাইশুরু অঞ্চলে নিরঙ্কুশ আধিপত্য রেখেছে কংগ্রেস। মোট ৬৪ আসনের মধ্যে কংগ্রেস এই এলাকায় ৪২টি আসনে এগিয়েছে, ৪টিতে বিজেপি।
মধ্য কর্নাটক অঞ্চলে ২৩ আসনের মধ্যে কংগ্রেস এগিয়ে ১৩ আসনে, ৮ আসনে এগিয়ে বিজেপি। কিন্তু উপকূলবর্তী এলাকা, হিজাব বিতর্কে উত্তেজনা সবচেয়ে তীব্র হয়েছিল যে অঞ্চলে, সেখানে বিজেপি মোট ১৯ আসনের মধ্যে ১২টিতে এগিয়ে, ৬টিতে এগিয়ে কংগ্রেস।
কংগ্রেসের প্রচারে প্রাধান্য পেয়েছে রাজ্যের বিজেপি সরকারের দুর্নীতি। চল্লিশ শতাংশ কমিশন না দিলে কাজ হয় না, এই অভিযোগে ঠিকাদাররা চিঠি পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে। দলের নেতা রাহুল গান্ধী থেকে প্রদেশ সভাপতি ডি শিবকুমার বা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া জোর দিয়েছেন ফরটি পার্সেন্ট গভর্নমেন্ট প্রচারে। সেই সঙ্গে বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধেও স্পষ্ট মত জানিয়েছে কংগ্রেস।
ফল গণনার মাঝেই সোশাল মিডিয়ায় ফিরে এসেছেন গৌরী লঙ্কেশও। উগ্র হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে সরব এই সাংবাদিককে খুন হতে হয়েছিল। কার্টুনে সেই স্মৃতি ফিরে এসেছে।
Comments :0