ঘূর্ণিঝড় ‘মোকার’ তাণ্ডবে প্রায় দুই হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে কক্সবাজারে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ১০ হাজার ঘরবাড়ি। রবিবার সন্ধ্যায় এই খবর জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রসাশন। স্থানীয় সময় এদিন বেলা ৩টে নাগাদ সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ উপকূলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় মোকা। বাংলাদেশের উপকূলে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৫০-৫৫ কিলোমিটার। মোকার তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি, গাছপালা, ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি।
ঘূর্ণিঝড় মোকা বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করে মায়ানমারে তাণ্ডব চালিয়েছে। এদিন বিকালে রাখাইন রাজ্যের সিট্যুয়ে উপকূলে আছড়ে পড়ে মোকা। এখনো প্রর্যন্ত মোকার তান্ডবে মায়ানমারে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঝড়ের তাণ্ডব থেকে বাঁচতে হাজার হাজার মানুষ নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছেন।
মায়ানমারের আবহাওয়া দপ্তরের খবরে বলা হয়েছে, রাখাইন রাজ্যের সিট্যুয়ে শহরের কাছে ঘণ্টায় ২০৯ কিলোমিটারের বেশি গতিবেগে নিয়ে আছড়ে পড়ে মোকা। অনেক বাড়ি ঘরের ছাদ উড়ে গেছে। মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। ইলেকট্রিক ট্রান্সফরমার, মোবাইল টাওয়ার, নৌকা ও ল্যাম্পপোস্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইয়াঙ্গুন থেকে প্রায় ৪২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমের কোকো দ্বীপপুঞ্জের বেশ কিছু বাড়ির ছাদ উড়ে গেছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোকা বর্তমানে মায়ানমারে বন্দরনগরী সিত্তে অবস্থান করছে। ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা। প্রবল জলোচ্ছাসের কারণে সিত্তের বড় অংশ প্লাবিত হয়েছে। এদিন সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ উপকূল অতিক্রম করার পর ঘূর্ণিঝড় ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পরেছে বলে সংবাদ মাধ্যম সূত্র পাওয়া খবরে জানা গেছে।
Comments :0