minor downed

স্নান করতে নেমে গঙ্গায় তলিয়ে গেল নাবালক

জেলা

স্নান করতে নেমে গুপ্তিপাড়া ফেরিঘাটে তলিয়ে গেল বছর তেরোর নাবালক,নাটকের যবনিকার মত মিলে গেল বছর পাঁচেক আগের এক ঘটনা।

পাড়ার ক্লাবে রবীন্দ্র জয়ন্তীতে নাটকে অভিনয়, অভিনীত চরিত্রের নাটকের শেষে মৃত্যু,একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল বছর পাঁচেক পর,হতবাক গ্রামবাসীরা।

বলাগড়ের গুপ্তিপাড়ার বাসিন্দা ছিল দীপ দাস ও শুভম দাস।দুজনেরই মৃত্যু হল জলে ডুবে।দীপুর মৃত্যু হয় বর্ধমানে গিয়ে দামোদর নদে।শুভমের মৃত্যু গঙ্গায়।পঁচিশে বৈশাখ নাটকে অভিনয় করে, সাতাশ তারিখ জলে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যায় দুজনেই।কাকতালীয় এই ঘটনায় অবাক গ্রামবাসীরা।গ্রামের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ সাহা বলেন,দীপের বয়স ছিল পনেরো।পাঁচ বছর আগে রবীন্দ্র জয়ন্তীর দিন নাটকে অভিনয় করে।পরদিন বর্ধমানে বেড়াতে যায়।সেখানে গিয়ে দামোদরে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যায়।সেদিন ছিল সাতাশে বৈশাখ বৃহস্পতিবার।আর শুভমও জলে ডুবল সেই সাতাশে বৈশাখ বৃহস্পতিবার।সময়টাও একই।
শুভম একটি মেধাবী প্রতিবন্ধীর চরিত্রে অভিনয় করে,শেষে তার মৃত্যু হয়।যা দেখে কেঁদে ছিল দর্শকরা।প্রসেনজিৎ বলেন,ওর সঙ্গে কাল দেখা হল পিঠ চাপরে বললাম খুব ভালো অভিনয় করেছিস তোকে কিছু খাওয়াবো।সেই সুযোগ আর পেলাম না।পাঁচ বছর আগে দীপের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা হয়েছিল।পাড়ার আজাদহিন্দ ক্লাবে দীর্ঘদিন ধরে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালিত হয়।নাটকে এক সময় আমরাও অভিনয় করেছি।কিন্তু এই দুই জনের মৃত্যু কাকতালীয় হলেও গ্রামবাসীদের নাড়িয়ে দিয়েছে।
শুভমের বাবা কমল দাস পেশায় অটো চালক।তিনি বলেন,ছেলে গুপ্তিপাড়া হাইস্কুলের ক্লাস সেভেনে পড়ত।বৃহস্পতিবার এক বন্ধুর সঙ্গে গঙ্গায় স্নান করতে গিয়েছিল।আজই প্রথম যায়।
তলিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে বলাগড় থানার পক্ষ থেকে স্প্রিড বোর্ড দিয়ে খোঁজ শুরু করে।দুই দিন হয়ে গেলেও দেহ মেলেনি এখনও পর্যন্ত।

পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্য সন্দীপ সিংহ বলেন,ঘটনা কাকতালীয় তবে অলৌকিক নয়।কারন একই সময় একই দিনে সারা পৃথিবীতে একই ভাবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।এক্ষেত্রে যেহেতু একই এলাকার ঘটনা তাই দুটি ঘটনা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।যেকোনো মৃত্যুই দুঃখের।

Comments :0

Login to leave a comment