PM ALL PARTY MEET

সর্বদলীয় বৈঠক বিকেলে, প্রচারে মোদী বিহারে কেন, উঠল প্রশ্ন

জাতীয়

সর্বদলীয় বৈঠকে থাকছেন না প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদী থাকছেন বিহারে সরকারি প্রকল্প ঘোষণা করতে। তারপর নির্বাচনী প্রচারসভাতেও অংশ নেওয়ার কথা তাঁর।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর এই সফরসূচিকে কড়া সুরে সমালোচনা করেছে আরজেডি এবং কংগ্রেস। 
জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর গৃহীত ব্যবস্থা জানাতে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্র। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং সভাপতিত্ব করবেন বৈঠকে। বিজেপি জোট এনডিএ’র শরিক জেডি(ইউ) জানিয়ে দিয়েছে যে বিহারে প্রধানমন্ত্রীর সভায় ব্যস্ততার জন্য সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দেবেন না দলের কোনও নেতা। 
পহেলগামে এই হামলার পর সারা দেশের সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের সর্বত্র তীব্র প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে জনতা। বুধবার ধর্মঘট হয়েছে গোট রাজ্যে। বিভিন্ন সংবাদপত্র সন্ত্রাসবাদী হামলায় ধিক্কার জানিয়ে প্রথম পাতা কালো রেখেছে। 
পর্যটকদের ওপর এই হামলার ঘটনায় কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন বহু। রাজ্যের মর্যাদা থেকে নামিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়েছে। বাতিল হয়েছে সংবিধানের ৩৭০ ধারা। কিন্তু তারপরও হামলা অব্যাহত রয়েছে। অথচ সন্ত্রাসবাদ দমনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাতিল হয় এই ধারা। পর্যটন কেন্দ্র পহেলগামের কাছে বৈসরনে কোনও নিরাপত্তা রক্ষী ছিল না কেন রয়েছে সে প্রশ্নও। এই অবস্থায় সন্ত্রাসবাদী হামলাকে ঘিরে ধর্মীয় মেরুকরণে হাওয়া দিতে নেমেছে বিজেপি এবং তার সঙ্গীরা। 
সন্ত্রাসবাদী হামলা অতীতে পর্যটকদের ওপর হয়েছে কম। এক্ষেত্রে পর্যটকদের দাঁড় করিয়ে হামলা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদীদের হাতে নিহতদের তালিকায় রয়েছে স্থানীয় একজন। 
বুধবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার সুরক্ষা সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে। পহেলগামের হামলায় জড়িত সন্ত্রাসবাদীদের মদতদাতা হিসেবে পাকিস্তানকে চিহ্নিত করে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তারপরই এই সর্বদলীয় বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করছে রাজনৈতিক মহল। 
বিহারের বিরোধী দল আরজেডি বলেছে, ‘পহেলগামে নিহতদের শেষকৃত্যও হয়নি। আর প্রধানমন্ত্রী ভোট প্রচারে চলে আসছেন বিহারে।’ রাজ্যের কংগ্রেস বলেছে, ‘দেশ শোক পালন করছে আর প্রধানমন্ত্রী ভোট প্রচার করছেন।’   
কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেছেন, ‘‘এমন গুরুত্বপূর্ণ সর্বদলীয় বৈঠকে সভাপতিত্ব করা উচিত প্রধানমন্ত্রীর। তাঁর কাছে সেই আবেদন জানাচ্ছি।’’
বিহারে পঞ্চায়েতী রাজ দিবসে মধুবনিতে ১৩ হাজার ৪৮০ কোটি টাকার প্রকল্পের শিলন্যাস করবেন মোদী। আরজেডি’র অভিযোগ, বিজেপি-জেডিইউ সরকার আধিকারিকদের দিয়ে সব স্তরের পঞ্চায়েত সদস্যদের বাধ্য করছে মধুবনির সভায় যোগ দিতে।

Comments :0

Login to leave a comment