মলয়কান্তি মণ্ডল ▪️রানিগঞ্জ
গরমের সঙ্গে টেক্কা দিচ্ছে লোডশেডিং। তাতে নাজেহাল খনি অঞ্চলের জনজীবন।
চলতি বছরে দুপুর থেকে রাত অবধি রানিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় লোডশেডিং-র জেরে ভোগান্তির মধ্যে রয়েছেন কয়লাঞ্চলের বাসিন্দারা। বিশেষ করে দুপুরের পর থেকে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে সমস্যায় পড়ছেন বাসিন্দারা। এখানকার কয়লাই বিভিন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে শক্তি জুগিয়ে থাকে।
রানিগঞ্জের বাসিন্দা মনোজিত বোস ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ‘‘বিদ্যুতের মাশুল, বিল বেড়েই চলছে। অথচ পরিষেবা সেই তুলনায় বাড়ছে না।"
মঙ্গলপুর, রানিগঞ্জ ও বোগড়ায় তিনটি সাবস্টেশন থেকে ৫৬ হাজারের বেশি গ্রাহক রয়েছে। এছাড়াও ইসিএল কর্তৃপক্ষ সিএসআর প্রকল্পে খনি সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে।
কয়লাঞ্চলে দফায় দফায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সমস্যা সমাধানের জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন পর্যদের আসানসোলের ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ারকে চিঠি দিয়েছেন রানিগঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক এবং সিপিআি(এম) নেতা রুনু দত্ত। তিনি চিঠিতে জানান, তীব্র দাবদাহের মধ্যে ঘনঘন লোডশেডিংয়ের জেরে কয়লাখনি অঞ্চলের শিশু ও বয়স্করা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এছাড়াও সন্ধ্যা গড়ালেই লো-ভোল্টেজের সমস্যা রয়েছে। বিদ্যুৎ পরিষেবা কখন স্বাভাবিক হবে জানতে চেয়ে শহরের বহু বাসিন্দাই বিদ্যুৎ বন্টন কল-সেন্টারগুলিতে টেলিফোন করছেন। খোঁজখবরও নিতে গেলে দেখা যায় ফোন সারাক্ষণ ব্যস্ত। কবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে, সেই জবাব অবশ্য কারও কাছেই মেলে না। রুনু দত্ত বলেন, বিদ্যুৎ পরিষেবা অটুট রাখতে বিদ্যুৎ পর্যদকে আরো দায়িত্ববান হতে হবে।
বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, অননুমোদিত বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য মেইণ্টেনেস এর কাজ বেশি হওয়ায় বিদ্যুৎ পরিষেবায় সমস্যা হচ্ছে। রানিগঞ্জের তিনটি সাবস্টেশন থেকে অনবরত ৫৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বিতরণ করা হয়। রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন পর্যদ ও ডিভিসি এই বিদ্যুতের যোগান দিচ্ছে। বিদ্যুতের ঘাটতি বিপুল পরিমানে নেই বলে বিদ্যুৎ সংস্থার কর্মীরা দাবি করলেও লোডশেডিং পরিস্থিতি কবে ঠিক হবে তার সদুত্তর নেই বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কর্তাদের কাছেও।
Comments :0