পূর্ব বর্ধমান জেলার শক্তিগড়, জামালপুর এবং কেতুগ্রামের আমগড়িয়া গ্রামে তিনজন কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। পারিবারিক অশান্তি, মানসিক অবসাদে এই তিনজনের মৃত্যু ঘটেছে এমনটাই দাবি পুলিশের। যদিও নিহতদের পরিবার ও প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, আত্মহত্যার মূল কারণ অভাব ও দারিদ্রতা। কিন্তু পুলিশ ও সরকারি আধিকারিকরা নবান্নের নির্দেশ মতো আত্মহত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে পারিবারিক অশান্তি, মানসিক অবসাদ, মদ খেয়ে অশান্তি এরকমই তকমা এঁটে আত্মহত্যার ঘটনা ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ।
শক্তিগড় থানার পুতুণ্ডা গ্রামে কীটনাশক খেয়ে এক যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন। মৃতের নাম সাগর মাঝি(২৫)। রবিবার সন্ধ্যায় বাড়িতে তিনি কীটনাশক খান। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতেই তিনি মারা যান। পারিবারিক অশান্তির কারণে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পুলিশ বললেও এই আত্মহত্যার পেছনে অভাব, কাজ নেই দারিদ্রতা বড় কারণ। তার থেকেই পারিবারিক অশান্তি।
অন্য একটি ঘটনায় জামালপুর থানা এলাকায় কীটনাশক খেয়ে এক বৃদ্ধা আত্মঘাতী হয়েছেন। মৃতার নাম মমতা বাগ(৬৫)। রবিবার দুপুরে বাড়িতে তিনি কীটনাশক খান। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। অপর একটি ঘটনায় কেতুগ্রাম থানার আমগড়িয়া গ্রামে কীটনাশক খেয়ে এক প্রৌঢ়া আত্মঘাতী হয়েছেন। মৃতার নাম চায়না দাস(৫৩)। দিনকয়েক আগে বাড়িতে তিনি কীটনাশক খান। তাঁকে কাটোয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সোমবার সকালে তিনি মারা যান। মূলত অভাব ও গ্রামে কাজ না থাকার কারণেই আত্মহত্যার প্রধান কারণ বলে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন।
দিন কয়েক আগেই মাইক্রোফিনান্সের ঋণের বোঝায় আত্মঘাতী হয়েছেন বর্ধমান- ২ ব্লকের বড়শুল এলাকার দক্ষিণ গোপালপুরের হেমন্ত মালিক(৬৫) ও রেখা মালিক (৫৪) নামে খেতমজুর দম্পতি।
Comments :0