SWASHTHYA SATHI JALPAIGURI

জীবিতকে মৃত, মিলল না স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবা

জেলা

প্রবীণ নাগরিক সৌমিত্র বসাক জানাচ্ছেন ক্ষোভ। ছবি: দীপশুভ্র সান্যাল

স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে জীবিত মানুষকে মৃত জানানো হলো। কলকাতায় গিয়ে  বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা পেলেন না জলপাইগুড়ির এক বাসিন্দা। ধার করে চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি ফিরে ফের স্বাস্থ্যসাথী বিষয়ক বিভাগের দ্বারস্থ হলেন সৌমিত্র বসাক।
জলপাইগুড়ি শহরের লক্ষণ মৌলিক সরণির বাসিন্দা বছর সাতষট্টির সৌমিত্র বসাক চিত্র সাংবাদিক। স্থানীয় একটি চ্যানেলের সাথে যুক্ত। ফটোগ্রাফি প্রধান পেশা। সম্প্রতি তাঁর হার্টের সমস্যা হয়। এরপর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক  এনজিওগ্রাফ করতে বলেন তাকে।
যেহেতু এই পরিষেবা জলপাইগুড়িতে পাওয়া যায় না তাই তিনি কলকাতায় যান। বাড়িতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড খুঁজে না পেয়ে যোগাযোগ করেন জলপাইগুড়ি স্বাস্থ্যসাথী দপ্তরে। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে সেই কপি ফের জলপাইগুড়ি স্বাস্থ্যসাথী দপ্তরে জমা দেন। এরপর তাঁকে নতুন কার্ড দিয়ে দেওয়া হয়। 
নতুন কার্ড নিয়ে তিনি চলে যান কলকাতার মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে তিনি নতুন কার্ড জমা দেন। এর কিছুক্ষণ পর তাঁকে ডেকে নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁর হাতে একটি জেরক্স কপি ধরিয়ে দিয়ে বলা হয় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড অনুযায়ী আপনি মৃত। তাই আপনাকে এই কার্ডের পরিষেবা দিতে পারব না আমরা। শুনে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে তাঁর। এরপর তিনি ধার করে এনজিওগ্রাফ করিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। শুক্রবার তিনি ফের ওই দপ্তরের দ্বারস্থ হন।

সৌমিত্র বসাক বলেন, আমি যখন নতুন কার্ড বানাতে এলাম তখন আমার থেকে ৬০ টাকাও নেওয়া হয়। কিন্তু আমাকে কোনও রসিদ দেওয়া হয়নি। নতুন কার্ড হাতে দিয়ে বলা হয় আপনি এখন বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন। কিন্তু কলকাতায় গিয়ে আমি জানতে পারলাম স্বাস্থ্য সাথী কার্ড অনুযায়ী আমি মৃত। এর জেরে আমি হয়রানির শিকার হই। আজ আমি ফের এই দপ্তরে এলাম। আমার অভিযোগ জমা নেওয়া হয়েছে। আমি বয়স্ক মানুষ। দপ্তরের গাফিলতির জন্য এই জাতীয় হয়রানির শিকার কেন হতে হবে। আমার টাকা ফেরত চাই।
জলপাইগুড়ি স্বাস্থ্য সাথী বিষয়ক বিভাগের কিয়স্ক ম্যানেজার কৌশিক বিশ্বাস জানিয়েছেন তাঁরা অভিযোগ পেয়েছেন। দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে দেওয়া হবে

Comments :0

Login to leave a comment