শুক্রবার মার্কিন প্রশাসনের সদর দপ্তর পেন্টাগন থেকে একটি বিবৃতি জারি হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার উত্তর সিরিয়ার হাসাকা শহরের কাছে একটি মার্কিন সেনাঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানো হয়। পেন্টাগনের অভিযোগ, ইরানের মদতপুষ্ট গোষ্ঠীগুলির একটি এই হামলা চালিয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত ড্রোনটিও ইরানে তৈরি। মার্কিন প্রশাসনের দাবি, এই হামলায় ১ সামরিক কন্ট্রাক্টর প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্ততপক্ষে ৫ মার্কিন সেনা জওয়ান।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন জানিয়েছেন, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সেদেশের রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী পূর্ব সিরিয়ায় ইরানীয় বাহিনীর ব্যবহৃত ঘাঁটিগুলির একটিতে বিমান হানা চালানো হয়। যদিও ঠিক কোথায় হামলা চালানো হয়েছে, সেবিষয়ে পেন্টাগনের তরফে কিছু জানানো হয়নি।
অপরদিকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পাওয়া ফুটেজ অনুযায়ী, ইরাক সীমান্ত লাগোয়া দেইর-এজ-জোর প্রদেশে বিমান হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। ইরানের সংবাদমাধ্যম ‘প্রেস টিভি’র দাবি, কোনও সামরিক ঘাঁটিতে নয়, আমেরিকার ক্ষেপনাস্ত্র একটি শস্যাগার এবং গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রকের দপ্তরের উপর আছড়ে পড়ে শুক্রবার। প্রেস টিভি’র দাবি, এদিনের হামলায় কোনও ইরানীয় প্রাণ হারান নি।
এই বিমান হামলা নিয়ে সিরিয়া কিংবা ইরান, কোনও পক্ষের তরফে এখনও কোনও বিবৃতি জারি করা হয়নি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, চিনের মধ্যস্থতায় মধ্যপ্রাচ্যে বরফ গলতে শুরু করেছে। দীর্ঘদিনের বৈরিতা ভুলে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব এবং ইরান। এই অবস্থায় অস্থিরতা বাঁচিয়ে রেখে নিজেদের প্রভাব ধরে রাখতে মরিয়া আমেরিকা। তাই নতুন করে বিমান হামলা চালানো হয়ে থাকতে পারে।
Comments :0