কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে মোদী সরকারকে তুলোধনা করলো বিরোধীরা। তাঁরা মূল্যবৃদ্ধি এবং বেকারি বৃদ্ধির বাজেট বলে চিহ্নিত করেছে বাজেটকে। সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পগুলিকে উপেক্ষা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে তাঁদের অভিমত, কৃষকের ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা যুবদের কর্মসংস্থানের মত বিষয়, কোনোটা সম্পর্কেই এই বাজেটে দিশা নেই।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সরকারের স্লোগান ‘অমৃত কাল’-কে কটাক্ষ করে বলেছেন, এটা হল ‘মিত্র কাল’ বাজেট। কর্মসংস্থান সৃষ্টির কোনো চেষ্টা নেই। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের কোনো চেষ্টা নেই। অসাম্য রোখার কোনো চেষ্টা নেই। ১ শতাংশ ধনীর কাছে ৪০ শতাংশ সম্পদ, ৫০ শতাংশ হতদরিদ্রর থেকে জিএসটি’র ৬৪ আদায় হচ্ছে, ৪২ শতাংশ যুব এখনও বেকার- প্রধানমন্ত্রীর কোনো ‘কেয়ার’ই নেই। ভারতের ভবিষ্যতের জন্য কোনো পরিকল্পনাই নেই সরকারের।
লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বাজেটের তীব্র সমালোচনা করতে গিয়ে পুরনো সময়ের হিন্দি ছবির জনপ্রিয় গানের লাইন ব্যবহার করেছেন। খাড়গে বলেছেন, এই বাজেট হল, ‘বাত বড়ে অওর দর্শন ছোটে।’ অর্থাৎ বড় বড় ঘোষণাই সার, বাস্তবে কিছুই মেলে না বাজেট থেকে। সব মিলিয়ে মোদী সরকার মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। দেশের অর্থনীতি গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশের সম্পদ লুট করা ছাড়া মোদী সরকার আর কিছু করেনি।
সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব বলেছেন, বিজেপি তাদের বাজেটের এক দশক পূর্ণ করছে। এতদিন পর্যন্ত কিছুই দেয়নি এখন আর কি দেবে। বিজেপি’র বাজেট মূল্যবৃদ্ধি এবং বেকারির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। শ্রমিক, যুব, মহিলা, চাকুরিজীবী, ব্যবসায়ীরা এই বাজেট থেকে শুধু নিরাশই হন। কিছু ধনীর লাভের জন্যই তৈরি হয় বিজেপি’র বাজেট।
বিএসপি প্রধান মায়াবতীও একাধিক টুইট করে কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন। তিনিও বলেছেন, এর আগের ৯টা বাজেটেও ঘোষণা, প্রতিশ্রুতির বর্ষণ হয়েছে। এই বছরের বাজেটও তার থেকে কিছু ব্যতিক্রম নয়। তিনি বলেছেন, সরকারের সংকীর্ণ এবং ভ্রান্ত নীতির কারণে কৃষক এবং অন্য মেহনতি মানুষের জীবন দুঃসহ হয়ে উঠছে।
পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি বলেছেন, গত ৮-৯ বছরের মতই বাজেট। সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে কোনো খরচ হচ্ছে না। পুঁজিপতি এবং বৃহৎ ব্যবসায়ীদের জন্য কর আদায় চলছে। শিক্ষা স্বাস্থ্যের বাজেট ছাঁটাই নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন যোগেন্দ্র যাদব। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, দিল্লিকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সৎ মায়ের মত আচরণ করেছে কেন্দ্র।
Comments :0