পূর্বাভাস অনুযায়ী মায়ানমারের সিতওয়ে বন্দরের কাছে ল্যান্ডফল হল ঘূর্ণিঝড় মোকার। রবিবার সকাল থেকেই মায়ানমার ও বাংলাদেশের কক্সবাজার অঞ্চলে বৃষ্টির দাপট বজায় ছিল। সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হওয়া। এদিন দুপুরে প্রায় ১৮০ থেকে ১৯০ কিলোমিটার গতিবেগে সিতওয়েতে ঘূর্ণিঝড় মোকা আছড়ে পড়ে। প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে মায়নমার ও বাংলাদেশের কক্সবাজার এলাকায়। বিশেষ করে বাংলাদেশের কক্সবাজার অঞ্চলে অবস্থিত রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবিরে ব্যপক ক্ষয়ছতি হবে বলেই মনে করছে সে দেশের সরকার। তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার বলে জানা গিয়েছে।
মায়ানমার থেকে ঝড়টি বাংলাদেশের দিকে ঘুরে এগোতে থাকবে। ভারতীয় হাওয়া অফিস জানিয়েছে উত্তর উত্তর-পশ্চিমে ঘুড়ে কক্সবাজারের দিকে ক্রমশ এগোতে থাকবে 'মোকা'। ফলে বাংলাদেশের একাংশে প্রবল বৃষ্টিপাত হবে। এদিকে মোচার তান্ডবে মায়ানমার-বাংলাদেশে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হলেও তীব্র দাবদাহে ভুগছে দক্ষিণবঙ্গ। মোচা বাংলাদেশ উপকূলে ঢুকলে হালকা বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিমবঙ্গে কিন্তু তাতে তীব্র গরমে থেকে রেহাই মিলবে না বলেই মত আবহাওয়া দপ্তরের। ফলে সোমবার থেকে দক্ষিণ বঙ্গের জেলাগুলোতে তাপপ্রবাহের সম্ভবনা থাকছে।
Comments :0