SUPREME COURT

বন্ধ খামের সুপারিশ খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

জাতীয়

supreme court Adani scam central government bengali news

আদানি-হিন্ডেনবার্গ কান্ড খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার সেই প্রস্তাব মেনে নেয় কেন্দ্র। কিন্তু প্রস্তাবিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যদের নামের তালিকা বন্ধ খামে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে জমা দেয় কেন্দ্র। যদিও সুপ্রিম কোর্ট পত্রপাট বন্ধ খামের সুপারিশ নাকচ করেছে। 

এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে এক ৩ সদস্যের বেঞ্চের কাছে বন্ধ খাম জমা দেয় কেন্দ্র। বন্ধ খামের ভিতরে থাকা নাম বা নামগুলিকে সঙ্গে সঙ্গে বাতিল করে সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট জানায়, আমরা নিজেরাই বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করব। সরকারের সুপারিশ অনুযায়ী কমিটি গঠন করলে সাধারণ মানুষ মনে করতে পারেন এই কমিটি সরকারের দ্বারা গঠিত। তারফলে কমিটির নিরপেক্ষতা এবং গ্রহণ যোগ্যতা নষ্ট হবে। 

এদিন সেবি’র তরফেও একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের পরামর্শ দেওয়া হয় সুপ্রিম কোর্টকে। সে ক্ষেত্রেও আদালত জানায়, তাঁরা নিজেরাই কমিটি গঠন করবেন।

 

আদানি-হিন্ডেনবার্গ কান্ডে সুপ্রিম কোর্টে ইতিমধ্যেই ৪টি পিটিশন দাখিল হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেত্রী জয়া ঠাকুর সহ বাকি পিটিশনগুলির কোনওটা আদানির বিরুদ্ধে শেয়ার কারচুপির অভিযোগ এনেছে, আবার কোনও পিটিশন সরাসরি হিন্ডেনবার্গ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দাখিল করা হয়েছে। সমস্ত পিটিশনেই এই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠনের আবেদন করা হয়েছে। 

আবেদনগুলির ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশের পরে শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তাই এই গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। শেয়ার বাজারের দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে কোনও কারচুপি হচ্ছে কিনা, কিংবা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কোনও ঘাটতি থাকছে কিনা তাও খতিয়ে দেখবে এই বিশেষজ্ঞ কমিটি। 

প্রসঙ্গত ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ায় হিন্ডেনবার্গ সংস্থার তরফে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ভুয়ো শেয়ার বেচাকেনা, শেয়ারের দামে কারচুপি সহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়। সেই অভিযোগের ফলে আদানির শেয়ারের বাজারদর তলানিতে এসে ঠেকে। আদানিদের প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদ রাতারাতি হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। এই ঘটনার ফলে ক্ষতির মুখে পড়েন আদানির শেয়ারে বিনিয়োগ করা আমজনতা। এই ঘটনা সামনে আসার পরে কেন্দ্র আপ্রাণ চেষ্টা চালায় বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে। বাজেট অধিবেশনে বিরোধীদের রিতীমত কন্ঠরোধ করা হয়। এরফলে ব্যাপার গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। 

Comments :0

Login to leave a comment