EPFO JOB YECHURY

সংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ কমল ১০%, জীবিকার ধ্বংস ঠেকানোর আহ্বান ইয়েচুরির

জাতীয়

সংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ এক বছরে ১০ শতাংশ কমে গিয়েছে। দেশে কর্মহীনতার হার স্বাধীনতার পর যে কোনও পর্বের তুলনায় চড়া। তার মধ্যেও সংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ কমে যাওয়ার এই তথ্য সামনে এসেছে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড (ইপিএফও)’র হিসেব তুলনা করে।
এ বছরের জানুয়ারিতে কর্মহীনতার হার ছিল ৬.৮ শতাংশ। বেসরকারি সমীক্ষা সংস্থা সিএমআইই’র তথ্য অনুযায়ী আগের মাসে, অর্থাৎ গত বছরের ডিসেম্বরে কর্মহীনতার হার ছিল ৮.৭ শতাংশ। জানুয়ারির হারও দেশের দীর্ঘমেয়াদী তথ্যের বিচারে চড়া। গত বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বরের তথ্য জানিয়েছিল যে ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সসীমায় কর্মহীনতার হার ছিল ৪৪.৪৯ শতাংশ। এর মধ্যেই এসেছে প্রভিডেন্ট ফান্ডের তথ্য।
প্রভিডেন্ট ফান্ড জানিয়েছে তাদের তহবিলে নতুন খাতা খোলা হয়েছে ১ কোটি ৭ লক্ষ ৮০ হাজার। ২০২৩’র জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের এই সংখ্যা দেশের সংগঠিত ক্ষেত্রে নতুন কাজ সৃষ্টির সূচক। 
কর্মচারী প্রডিডেন্ট ফান্ডেরই তথ্য অনুযায়ী, ২০২২’র একই সময়ে খোলা হয়েছিল ১ কোটি ১৯ লক্ষ ৩০ হাজার কর্মীর নামে খাতা। দেশের বেসরকারি ক্ষেত্রে সংগঠিত পণ্য এবং পরিষেবা উৎপাদন সংস্থার কর্মীদের নামে ইপিএফও’তে খাতা খোলা হয়। এই ক্ষেত্রের কর্মীদের সংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই কর্মীদের কাজের সুরক্ষা অসংগঠিত ক্ষেত্রের তুলনায় বেশি। শ্রম আইন এবং সামাজিক সুরক্ষা তুলনায় কিছু বেশি মেলে এই অংশের।
সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘সংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ ১০ শতাংশ কমে গিয়েছে এক বছরে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রে মন্ত্রীরা নজিরবিহীন বিকাশের বুলি আওড়াচ্ছেন। অথচ ব্যর্থতার পাহাড় জমছে।’’
ইয়েচুরির বক্তব্য, আকাশছোঁয়া জিনিসের দাম এবং কৃষির সঙ্কটে নাজেহাল অবস্থা জনজীবনের। তার মধ্যে কাজ কমে যাওয়ার এই তথ্য সঙ্কটের গভীরতা স্পষ্ট করছে। তিনি বলেছেন, ‘‘জনতার কেনার ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। কারণ রোজগার কমে যাচ্ছে। ইপিএফও’র তথ্যে চাহিদার এই সঙ্কট ধরা পড়ছে। জীবিকা ধ্বংস করার পথে চলছে সরকার। তা চলতে দেওয়া যাবে না।’’

Comments :0

Login to leave a comment