আসামে ভয়াবহ অবস্থা বন্যায়। সরাসরি বিপন্ন অন্তত ২৪ লক্ষ বাসিন্দা। সরকারি হিসেবেই ৬৪ জনের মৃত্যুর তথ্য স্বীকার করা হয়েছে। আসামের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ কথা বলেছেন রাজ্যের বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে।
তবে অমিত শাহের কড়া সমালোচনা করেছেন রাজ্যের কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ। শাহ বলেছেন, আসামে ‘বন্যার মতো’ পরিস্থিতি। গগৈ বলেছেন, ‘‘সত্তর জনের বেশি নাগরিকের মৃত্যুর খবর এসেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এখনও বন্যা বলছেন না, বলছেন ‘বন্যার মতো’! এর আগেও অমিত শাহ এমন মন্তব্য করেছেন।’’
কংগ্রেসের এই নেতা বলেছেন, ‘‘বন্যার পাশাপাশি বড় সমস্যা নদী ভাঙন। বিশ্ব উষ্ণায়ন কিভাবে উত্তর০পূর্বকে, আসামকে বিপন্ন করছে বোঝা যাচ্ছে প্রতিদিন। নদী ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে ঘরবাড়ি, চাষের জমি, স্কুল। কেন্দ্রীয় সরকারকে পরিস্থিতি মোকাবিলার নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিতে হবে।’’
রবিবারই মিলেছে গুয়াহাটির বাসিন্দা আট বছরের এক শিশুর দেহ। প্রবল বৃষ্টির মধ্যে বাবার স্কুটার থেকে রাস্তায় খোলা ড্রেনে পড়ে গিয়েছিল ওই শিশু। পাহাড়ি জ্যোতিনগর এলাকায় শিশুটি পড়ে গিয়েছিল ড্রেনে। চার কিলোমিটার দূরে রাজগড় এলাকায় এদিন মিলেছে তার দেহ। তিনদিন আগে এই শিশু অবিনাশ সরকার পড়ে গিয়েছিল। মর্মান্তিক ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে গুয়াহাটিতে।
১০ জুনের পর থেকে দু’বার বন্যা পরিস্থিতি বিপজ্জনক চেহারা নিল আসামে। জলমগ্ন হয়েছে ৩ হাজার ৫৩৫টি গ্রাম। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী শিবিরে রয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।
কেবল ধুবড়িতেই বিপন্ন ৭.৯৫ লক্ষ বাসিন্দা। এরপরই রয়েছে কাছাড় এবং দারাঙ। দু’জেলাতেই অন্তত দেড় লক্ষ করে বাসিন্দা বিপন্ন বলে জানানো হয়েছে সরকারি তথ্যে। ব্রহ্মপুত্র এবং বরাকে জল বইছে বিপদসীমার ওপরে। জোরহাট থেকে ধুবড়িতে অবস্থা সবচেয়ে বিপজ্জনক বলে জানানো হয়েছে।
এবারও বন্যায় কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে বন্যপ্রাণের মৃত্যুর খবর মিলেছে। সংরক্ষিত এই বনভূমিতে অন্তত ১১৪টি বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ৬টি গণ্ডার।
আসামের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগ জানিয়েছে ২ জুলাইয়ের পর বর্ষণ কিছুটা কমেছে। জল নামার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
ASSAM FLOOD
আসামে মৃত্যু ৭০ ছাড়িয়ে, অমিত শাহ বলছেন ‘বন্যার মতো’! ক্ষোভ গগৈয়ের
×
Comments :0