FOREST LAND

দেড় দশকে ধ্বংস হয়েছে ৩ লক্ষ হেক্টরের বেশি বনভূমি

জাতীয়

ছবি সংগৃহীত।

গত ১৫ বছরে ৩ লক্ষ হেক্টরের বেশি বনভূমি ধ্বংস হয়েছে দেশে। বনভূমি সংরক্ষণ আইনের আওতায় চলেছে বনভূমি অন্য কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। 

বনভূমি সংরক্ষণ আইন পাশ হয়েছিল ১৯৮০’তে। সেই আইনের সংশোধনী চলতি অধিবেশনের পাশ করেছে কেন্দ্র। পরিবেশবিদদের অভিমত, নতুন সংশোধনীর ফলে আরও দ্রুত বনভূমি অন্য কাজে ব্যবহারের রাস্তা খোলা হয়েছে। কর্পোরেটের হাতে চলে যাবে আরও বড় অংশের বনভূমি। 

ভারতে বনভূমি এখন মোট ভৌগলিক এলাকার ২১.৭১ শতাংশ বা ৭ লক্ষ ১৩ হাজার ৭৮৯ বর্গ কিলোমিটার।

অতীতে বনভূমি ধ্বংস হলেও নরেন্দ্র মোদীর মেয়াদে তা বিপুল মাত্রায় হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবেশবিদদের। গত ১৫ বছরের মধ্যে প্রায় দশ বছর সরকারে আসীন বিজেপি, প্রধানমন্ত্রী মোদী।

লোকসভায় কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবের দাবি, ১৫ বছর ধরে বনভূমির জমি অন্য কাজে ব্যবহার যেমন হয়েছে তেমনই বনসৃজনও হয়েছে। কেন্দ্রের দাবি, ৯ লক্ষ ৩৪ হাজার ৩৮০ হেক্টর জমিতে বিকল্প বনসৃজন করা হয়েছে। 

সরকারি হিসেবে জানানো হয়েছে যে পাঞ্জাবে ৬১ হাজার ৩১৮ হেক্টর বনভূমি বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। মধ্য প্রদেশে ৪০ হাজার ৬২৭ হেক্টর বনভূমি ধ্বংস হয়েছে। 

পরিবেশ মন্ত্রক জানাচ্ছে, খনির জন্য ধ্বংস হয়েছে ৫৮ হাজার ২৮২ হেক্টর বনভূমি। সড়কের জন্য ৪৫ হাজার ৩২৬ হেক্টর, বিদ্যুৎ সংবহণ লাইন টানতে ২৬ হাজার ১২৪ হেক্টর, সেচের জন্য ৩৬ হাজার ৬২০ হেক্টর, জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে নেওয়া হয়েছে ১৩ হাজার ১৩৬ হেক্টর বনভূমি। 

পরিবেশবিদরা জানাচ্ছেন, বন্যপ্রাণ কেবল নয়, বনভূমি ধ্বংসে উচ্ছেদের মুখে পড়ছে বনাঞ্চলের বাসিন্দারা। তাঁরা অত্যন্ত কঠিন অবস্থায় পড়ছেন জীবিকা হারানোর কারণে। 

কেন্দ্রের তথ্য ২০২২-২৩’এ ১৭ হাজার ৩৮১ হেক্টর, ২০২১-২২’এ ১৬ হাজাত ৪৮৫ হেক্টর, ২০২০২১’এ ১৮ হাজার ৩১৪ হেক্টর, ২০১৯-২০’তে ১৭ হাজার ৩৯২ হেক্টর বনভূমি অন্য কাজে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। এই সংখ্যা ২০১৬-১৭’তে ছিল ৭৪৬৭ হেক্টর, ২০১৫-১৬’তে ১৫ হাজার ২৪১ হেক্টর, ২০১৪-১৫’তে ১৩ হাজার ৪৫ হেক্টর।

বিজেপি সরকারের দাবি এক বছরে সবচেয়ে বেশি বনভূমি ধ্বংসের অনুমতি দেওয়া হয়েছি ২০০৯-১০ অর্থবর্ষে। তখন কেন্দ্রে আসীন ছিল কংগ্রেস। মোট ৭৬ হাজার ৭৪৩ হেক্টর বনভূমি অন্য কাজে ব্যবহারের পরিকল্পনা অনুমোদিত হয়। 

Comments :0

Login to leave a comment