Elephant in Purulia

বাঘ হাতির জোড়া আতঙ্ক পুরুলিয়ায়

জেলা

হাতির হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রকৃতি ভ্রমণ কেন্দ্র।

বাঘের আতঙ্কের মধ্যে এবার নতুন করে শুরু হলো হাতির আতঙ্ক। যার ফলে ঝাড়খন্ড লাগোয়া বান্দোয়ানের বেশ কিছু অঞ্চলের মানুষের ঘুম ছুটেছে। আতঙ্কিত পর্যটকরাও। দলছুট এক দাঁতাল হাতির আক্রমণ থেকে বাদ গেলোনা পর্যটক আবাস, দোকান এবং প্রাণভয়ে পালানো এক ব্যক্তির রাস্তায় ফেলে দেওয়া সাইকেল। পর্যটক আবাসে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পরল হাতির হামলার ঘটনার ছবি। হামলা চালিয়ে দলছুট ওই হাতি ঝাড়খন্ড সীমানা পেরিয়ে ওপারের জঙ্গলে চলে যায় বলে বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার ভোররাতে ঢালাই রাস্তা ধরে দলছুট ওই দাঁতাল হাতিটি ঝাড়খন্ড থেকে ঢুকে পড়ে আসনপানি গ্রামের দিকে। ওই গ্রামে  আসার পথে পঞ্চায়েত সমিতির পর্যটক আবাসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে যায় সে। সেখানে বেশ কিছু সবজি এবং চারা গাছ খেয়ে আবার রাস্তা ধরে নিজের মনেই হাঁটা দেয়। সেই সময় রাস্তা দিয়ে সাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন থরকাদহ গ্রামের বাসিন্দা জিতেন মুর্ম। হাতি দেখতে পেয়ে সাইকেল ফেলে সে আসনপানি গ্রামে গিয়ে আশ্রয় নেয়। হাতির রোষেরর শিকার হয় ওই ব্যক্তির সাইকেলটি। সাইকেলটিকে দুমড়ে মুচরে সে এগিয়ে যায় সামনের দিকে। পৌঁছে যায় বান্দোয়ানের দুয়ারসিনিতে বনদপ্তরের প্রকৃতি ভ্রমণ কেন্দ্রে। সেখানে ভেতরে ঢুকে সে হামলা চালায়। ওই চত্বরে থাকা বেশ কিছু আখ খায় সে। এরপর ডাইনিং রুমের দরজায় গিয়ে ধাক্কা মারে। রান্না ঘরের গ্রিলের জানালা ভেঙে আলু খাওয়ার চেষ্টা করে হাতিটি বলে জানা গিয়েছে। কিছু আলু ও বাঁধাকপি খেয়ে দুয়ারসিনি মন্দিরের দিকে হাঁটা দেয় হাতিটি। ওই প্রকৃতি ভ্রমণ কেন্দ্রের অস্থায়ী পাহারাদার আভিনাথ বেসরা ডাইনিং রুমে একটি খাটিয়ায় ঘুমোচ্ছিলেন। দরজায় ধাক্কা মারার আওয়াজ পেয়ে দরজা খুলতেই দেখেন সামনে ওই দাঁতাল। ওই ঘরের উল্টো দিকের কাচের জানলা খুলে তিনি পেছন দিক দিয়ে ছুটে পালান। এরপরে হাতিটি দুয়ারসিনি মোড়ে একটি চায়ের দোকানে হামলা চালায়। সেই সময় দোকানে কেউ ছিল না। পরে দোকানের মালিক অতুলচন্দ্র মাহাতো যখন বেলার দিকে দোকান খুলতে আসেন তখন তিনি দেখতে পারেন তার দোকান ঘরের জানলার লোহার রড ভাঙ্গা। প্রায় তিন বস্তা আলু সেই হাতিটি খেয়েছে এবং দোকানে রাখা সমস্ত চিপসের প্যাকেট রাস্তায় ফেলে নষ্ট করে দেয় ।হাতির হামলার খবর পেয়ে হুলা পার্টির দল হাতিটির পেছন নেয়। এর মধ্যেই হাতিটি দুয়ারসিনি, বুড়িঝোর হয়ে ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলে আশ্রয় নেয়। ওই পারে চলে গেলেও বনদপ্তরের কর্মীরা হাতিটির দিকে নজর রাখছেন বলে জানা গিয়েছে।

Comments :0

Login to leave a comment