Abu Dhabi Hanging

টিকার পরই মৃত্যু শিশুর, আবু ধাবিতে হত্যার দায়ে ফাঁসি ভারতীয় ধাত্রীর

জাতীয়

শেষ ফোন এসেছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি। মেয়ের থেকে শুনেছিলেন যে কোনও সময় ফাঁসি দেওয়া হবে। তারপর থেকে তদ্বির করেও মেয়ের খবর ছিল না। সোমবার বিদেশ মন্ত্রক দিল্লির আদালতকে জানালো যে ফাঁসি হয়ে গিয়েছে শাহজাদি খানের। 
সংযুক্ত আরব আমিরশাহির আবু ধাবিতে কাজ করতেন শাহজাদি। এক সদ্যোজাতের দেখভালের কাজ পেয়েছিলেন। শিশুটি মারা গেলে পরিবার শাহজাদির বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগে ১৫ ফেব্রুয়ারি ফাঁসি হয়েছে উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা এই ভারতীয় নাগরিকের।
বিদেশ মন্ত্রক আদালতে দাবি করেছে যে শাহজাদিকে বাঁচাতে চেষ্টা করা হয়েছিল। আইন পরিষেবা সংস্থার সহায়তা নেওয়া হয়েছিল। তবে শিশুহত্যার আইন খুব কড়া আমিরশাহিতে। ফলে বাঁচানো যায়নি। 
২০২১-এ আবু ধাবিতে যান শাহজাদি। বৈধ ভিসা নিয়েই গিয়েছিলেন। ২০২২-র আগস্টে শিশুর জন্ম দেন তাঁর কর্ত্রী। ডিসেম্বরে ভ্যঅকসিন নেওয়ার দিন বিকেলেই শিশুটি মারা যায়। পরিবার দায়ী করে শাহজাদিকে। অথচ পরিবারের আবেদনে অভিযোগ, শিশুর দেহের ময়নাতদন্তের অনুমতি দেয়নি পরিবার। মৃত্যু কারণ অনুসন্ধানে বিশদ তদন্তের দাবিও তুলে নেয়। কিন্তু জেলে প্রশাসনিক নিপীড়নে শাহজাদিকে বাধ্য করা হয় বয়ান দিতে। তার ভিত্তিতেই ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রক জানিয়েছে, ৫ মার্চ আবু ধাবিতেই শেষকৃত্য হবে ওই মহিলার। পরিবার যাতে যেতে পারে সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বিদেশে কর্মরত ভারতীয় বহু পরিবারই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আচরণে বিভিন্ন সময় ক্ষোভ জানিয়েছে। ভারত সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন সময়ে। এই ঘটনাতেও প্রশ্ন উঠেছে, টিকা নেওয়ার পরই শিশুর মৃত্যু হলো, ময়না তদন্ত ছাড়াই কী করে দেখভালের দায়িত্বে থাকা ধাত্রীর ওপর দায় চাপানো হলো।

Comments :0

Login to leave a comment