ঢাক ঢোল পিটিয়ে কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, ট্যাবের টাকার বিজ্ঞাপন দেওয়া হলেও স্কুল চালানোর খরচ বাবদ সরকারের ‘কম্পোজিট গ্র্যান্ট’-র অর্থ মিলছে না স্কুলে।
নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতি বা এবিটিএ-র জলপাইগুড়ি জেলা শাখার প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা উপসমিতির পক্ষ থেকে বুধবার সর্বশিক্ষা মিশনের জেলা এডুকেশন অফিসারকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে এই বিষয়টিতেই।
দাবি পত্রে বলা হয়েছে, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের কার্যক্রম প্রায় শেষ হতে চললেও, সর্বশিক্ষা দপ্তর থেকে চলতি বছরের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যার অনুপাতে কম্পোজিট গ্রান্টের টাকা পৌঁছায়নি জেলার কোনো স্কুলে। ফলে স্কুলের নিয়মিত কাজ চালাতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে প্রতিটি বিদ্যালয়কে।
এ প্রসঙ্গে, ফাটাপুকুর সারদামনি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুমন্ত বাগচী বলেন, "কম্পোজিট গ্রান্টের টাকা হিসেবে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যার অনুপাতে কোনও স্কুলকে ৭৫ হাজার টাকা আবার কোনও স্কুলকে ১ লক্ষ টাকা করে দু’টি ধাপে টাকা দেওয়া হতো। কিন্তু এখন তা সম্পূর্ণ বন্ধ। আর এই টাকা ছাড়া বিদ্যালয় পরিচালনা করা খুবই সমস্যা।’’
প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকারা জানাচ্ছেন যে বিদ্যুৎ বিল, শৌচালয় পরিষ্কার, বিজ্ঞান বিভাগের প্র্যাক্টিকাল সহ পরীক্ষার সামগ্রীর জন্য খুবই প্রয়োজন এই কম্পোজিট গ্রান্টের টাকা।
এবিটিএ-র জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক প্রসেনজিৎ রায় জানান সর্বশিক্ষা মিশনের জেলা অধিকর্তা জানান যে বিষয়টি স্টেস্ট প্রোজেক্ট ডাইরেক্টরকে জানানো হয়েছে।
SCHOOL ABTA
জলপাইগুড়ি: বছর শেষেও স্কুলে পৌঁছায়নি ‘কম্পোজিট গ্র্যান্ট’, দাবিপত্র এবিটিএ’র
×
Comments :0