ATK Mohun Bagan vs Goa

জয়ের সরণিতে মোহনবাগান

খেলা

ATK Mohun Bagan vs FC Goa


মোহনবাগান ২ (পেত্রাটোস, বুমো) গোয়া ১ (আনোয়ার)
বছরের শেষ ম্যাচ। গত দু’ম্যাচে জয় পায়নি মোহনবাগান। চোট সমস্যা তো ছিলও। তারমধ্যেও শীতের আমেজ গায়ে মেখে প্রায় উনিশ হাজার সমর্থক গ্যালারি ভরিয়েছিল প্রিয় দলের জয় দেখবে বলে। সবুজ মেরুন ফুটবলাররা নিরাশ করেনি তাঁদের। এফসি গোয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে মেরিনার্সদের বর্ষশেষের তিন দিন আগেই একরাশ আনন্দ উপহার দিল হুগো বুমো-পেত্রাটোসরা। তবে একশো শতাংশ খুশি করতে পারেনি।

কারণ, আরও বড় ব্যবধানে জিততে পারত মোহনবাগান। আশিক করুনিয়ান ও দিমিত্র পেত্রাটোস সহজ সুযোগ যদি না নষ্ট করতেন! তাই, মাঠ থেকে বেরানোর সময় জয়ের আনন্দে কারোর গলায় ‘জয় মোহনবাগান’ স্লোগান। আবার একদলের মুখে হতাশা ঝরে পড়ছিল, ফুটবলারদের  সহজ সুযোগ  মিস করতে দেখে! কিন্তু মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্ডো বেজায় খুশি। ম্যাচ শেষে ডাগআউটে তাঁর আবেগের বহিঃপ্রকাশ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল।

মোহনবাগান কোচ একাদশে দু’টি পরিবর্তন করে দল নামিয়েছিলেন। চলতি মরশুমে প্রথমবার শুরু থেকে খেলার সুযোগ পেলেন প্রণয় হালদার। দু’ম্যাচ পর প্রথম একাদশে ফিরলেন হুগো বুমোস। এবং তিন ম্যাচ পর মোহনবাগান চার বিদেশি নিয়ে খেলেছে। তাতেই যেন মোহনবাগানের খেলায় পুরানো ছন্দ ফিরল। শুরু থেকে বল দখলে নিয়ে আক্রমণ শানাচ্ছিল মোহনবাগান। ছয় মিনিটে বুমোর শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট। কিন্তু গোল পেতে খুব বেশি মিনিট অপেক্ষা করতে হয়নি। নয় মিনিটেই এগিয়ে যায় বাগান। আশিস রাইয়ের থ্রো ফলো করে কিছুটা এগিয়ে চলতি বলে শট নিয়ে জাল কাপিয়ে দেন বিশ্বকাপার দিমিত্রি পেত্রাটোস। ঘরের মাঠে সমর্থকদের সামনে প্রথম গোল পেয়ে আবেগ সামলে রাখতে পারেননি। মাঠ থেকে বেরিয়ে চলে যান গ্যালারির সামনে। অভিবাদন গ্রহণ করে তাতিয়ে দিয়ে আসলেন সমর্থকদের।

১৮ মিনিটে ব্যবধান বাড়তে পারত। নষ্ট করেন আশিস রাই। ২৫ মিনিটে সমতায় ফেরে গোয়া। বক্সের কিছুটা বাইরে গোয়ার এডু বেদিয়াকে ফাউল করেন কার্ল ম্যাকহিউ। ফ্রিকিক পায় গোয়া। এডু বেদিয়ার ফ্রিকিক থেকে বামপায়ের টোকায় গোল করেন আনোয়ার আলি। গোয়া সমতা ফিরলে খেলা থেকে হারিয়ে যায় মোহনবাগান। তবে আর কোনও দলই গোল পায়নি। প্রথমার্ধ ১-১ অবস্থায় শেষ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের এক মিনিটের মধ্যে ব্যবধান বাড়িয়ে ফেলেছিল গোয়া। ইকেরের শট বাঁচিয়ে দলের পতন রোধ করেন মোহনবাগানের গোলরক্ষক বিশাল কেইথ। ৫২ মিনিটে মোহনবাগানের একটি সুন্দর মুভ। আশিক বল দেন পেত্রাটোসকে।

অস্ট্রেলিয়ার স্ট্রাইকার বল বাড়ান বুমোকে। ঠান্ডা মাথায় স্কোরলাইন দলের পক্ষে ২-১ করতে কোনও ভুল করেননি হুগো। বিরতির পর খেলছিল গোয়াই। কাজের কাজ করতে পারেনি। মোহনবাগানের পরিকল্পনা ছিল প্রতি আক্রমণ থেকে গোল তুলে নেওয়ার। প্রতি আক্রমণ থেকেই দু’বার গোলের সুযোগ তৈরি করে ফেলেছিল সবুজ মেরুন শিবির। প্রথমে পেত্রাটোস। তারপর আশিক, যে দু’টি মিস করেছেন শিক্ষানবীশ ফুটবলারও অবধি গোল দিয়ে দেবেন। যাই হোক, শেষ অবধি জয় এসেছে, মোহনবাগানের কাছে এটাই স্বস্তির। জয়ের ফলে ১২ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে মোহনবাগান। এক ম্যাচ বেশি খেলে শীর্ষে থাকা মুম্বাই সিটি এফসির থেকে চার পয়েন্টে পিছিয়ে এখনও। মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধেই আগামী ১৪ জানুয়ারি মোহনবাগানের পরবর্তী ম্যাচ।
 

Comments :0

Login to leave a comment