Assam Flood

আসামে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ, ড্রেনে পড়ে যাওয়া কিশোরের দেহ উদ্ধার

জাতীয়

বিশ্বজিত দাস- গুয়াহাটি
আসামের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ। কোথাও গলা অবধি জল! আবার কোথাও বাড়ির চাল বরাবর জল। যেদিকে চোখ যায় শুধু জল আর জল। রবিবার সরকারী সূত্র জানিয়েছে আসামের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। রাজ্যের ২৯টি জেলা বন্যায় প্লাবিত। বানভাসির সংখ্যা ২৪ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ব্রহ্মপুত্র সহ বেশ কয়েকটি বড় নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ধুবরি। যেখানে ৭.৯৫ লাখেরও বেশি মানুষ বানভাসি। গুরুতর ক্ষতিগ্রস্থ জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে কাছাড় এবং দারাং, প্রতিটি জেলায় ১.১৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। ৫৭৭টি ত্রাণ শিবিরে ৫৩ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিচ্ছেন। সরকারি সূত্রে খবর, বন্যায় ভূমিধস ও ঝড়ের কারণে  এখনও পর্যন্ত ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জোড়হাট থেকে ধুবরি পর্যন্ত রাজ্যের একাধিক জায়গায় ব্রহ্মপুত্র সহ প্রধান নদগুলি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুরহিদেহিং, ডিখৌ, ডিসাং, ধানসিরি, জিয়া ভারালি, কপিলি, বরাক এবং সংকোশের মতো অন্যান্য নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে লাল সঙ্কেত জারি করা করেছে। এদিন সরকারী সূত্রে জানানো হয়েছে বন্যায় হাঁস-মুরগিসহ পশুরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বিস্তীর্ণ ফসলি জমিও জলের নিচে তলিয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গুয়াহাটির পাহাড়ি জ্যোতিনগর এলাকায় অবিনাশ সরকার(৮)তার বাবার স্কুটার থেকে পিছলে গিয়ে খোলা ড্রেনে পড়ে যায়। প্রবল বৃষ্টির মধ্যে তাঁরা বাড়ি ফিরছিল। তারপর থেকে বাবা হীরালাল সরকার ছেলেকে খুঁজে চলেছেন। ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন মেশিন ও স্নিফার ডগ নিয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে প্রশাসন। এদিন গৌহাটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (জিএমসিএইচ) তার বাবা-মা মৃতদেহ শনাক্ত করেন। পুলিশের এক আধিকারীক বলেন, রাজগড় এলাকা থেকে উদ্ধারকারীরা মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে। রবিবার গুয়াহাটির থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে রাজগড় এলাকায় একটি নর্দমার ভিতর থেকে উদ্ধার হল তাঁর দেহ। দেহটি উদ্ধার করে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দেহ শনাক্ত করার পর পরিবারের হাতে দেহটি তুলে দেওয়া হবে। নিহত পরিবার প্রথমে প্রশাসনের শেয়ার করা ছবির ভিত্তিতে জিএমসিএইচ মর্গে মৃতদেহটিকে শনাক্ত করেন। 

Comments :0

Login to leave a comment