ASSANGE AUSTRALIA

দেশে ফিরলেন অ্যাসাঞ্জে, সাংবাদিকের কাজে চরবৃত্তির দায় কেন, প্রশ্ন বিশ্বময়

আন্তর্জাতিক

অ্যাসাঞ্জেকে নিয়ে বিমান ক্যানবেরা বিমানবন্দরে।

স্বদেশে ফিরলেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জে। ১২ বছরে এই প্রথম মুক্ত হয়ে ফিরতে পারলেন অস্ট্রেলিয়ায়, দেশের মাটিতে। বুধবার ক্যানবেরা বিমানবন্দরে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাসাঞ্জের সমর্থকদের ভিড় ছিল। তাঁরা স্লোগান দিয়েছেন জয়ের। 
প্রশান্ত মহাসাগরীয় নর্দার্ন মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জের সাইপানের মার্কিন আদালতে সকালে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। আদালত তাঁকে মুক্তি দিয়েছে। অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী ব্যারি পোলক আদালতের বাইরে বলেছেন, ‘‘কথা বলার স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ে নেমে ভয়াবহ অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে জুলিয়ানকে।’’ 
‘উইকিলিকস’ ওয়েবসাইট খুলে মার্কিন সামরিক বাহিনীর একের পর এক কুকীর্তির নথি ফাঁস করে দিয়েছিলেন জুলিয়েন অ্যাসাঞ্জে এবং তাঁর সহযোগীরা। পরে ইউকিলিকস’র সঙ্গে সংযুক্ত হয় বিভিন্ন সংবাদ প্রতিষ্ঠানও। ইরাক এবং আফগানিস্তানে নতুন শতাব্দীর গোড়ায় মার্কিন সামরিক অভিযানের চেহারা কী ছিল, তার নথি পান বিশ্ববাসী। জেলের মধ্যে যুদ্ধবন্দিদের ওপর অমানবিক অত্যাচার, নিরীহ মানুষের ওপর আক্রমণের নথি বেরিয়ে পড়ায় বেআব্রু হয়ে গিয়েছিল মার্কিন সরকারের দ্বিচারিতা। 
বদলা নিতেও দেরি করেনি আমেরিকা। গোপন নথি ফাঁসের অভিযোগে দ্রুত দায়ের হয়েছিল মামলা। এই টানাপোড়েনেই ব্রিটেনের জেলে বন্দি ছিলেন অ্যাসাঞ্জে। তার আগে অন্য দেশের দূতাবাসে কূটনৈতিক আশ্রয় নিতে হয়েছিল তাঁকে। অ্যাসাঞ্জেকে ঘিরে যা চলেছে, তাতে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা আক্রান্ত হয়েছে ভয়াবহ মাত্রায়, মঙ্গলবার ব্রিটেনের জেল থেকে তাঁর মুক্তির দিনেই এই অভিমত দিয়েছিলেন বহু সাংবাদিক। শেষ পর্যন্ত মার্কিন সরকারের কাছে ‘দোষ স্বীকার’ করেন তিনি। ‘গোপন চরবৃত্তির’ অভিযোগে তাঁর জেলে থাকারই কথা। ততদিন তিনি কারাবন্দি রয়েছেন বলে সরাসরি মিলেছে মুক্তি। 
অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী পোলক বলেছেন, ‘‘গোপন চরবৃত্তির অভিযোগে অ্যাসাঞ্জেকে ভুগতে হয়েছে গত একশো বছরে আমেরিকার ইতিহাসে এমন আরেকটি ঘটনা মেলা কঠিন। অথচ, অ্যাসাঞ্জে সত্যকে বিশ্বের সামনে হাজির করেছিলেন। বিশ্বজুড়ে একের পর এক সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তাঁরই তথ্যের ওপর দাঁড়িয়ে। তাঁর বিরুদ্ধে চরবৃত্তির অভিযোগ আনা যায় না। এক সাংবাদিকের যা করার কথা সে কাজই করেছেন অ্যাসাঞ্জে।’’

Comments :0

Login to leave a comment