R G KAR; SC BIKASH BHATTACHARYA

প্রয়োজনে হাসপাতালে কেন্দ্রীয় বাহিনী, সওয়ালের পর ভট্টাচার্য

জাতীয়

আর জি কর হাসপাতালে আতঙ্কে রয়েছেন চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। পুলিশ সুরক্ষা দিতে না পারলে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে বাহিনী মোতায়েন করে হাসপাতালে সুরক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দেবে সুপ্রিম কোর্ট। 
আর জি কর মামলায় সুপ্রিম কোর্টে শুনানির পর একথা বলেছেন আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য।  নিহত চিকিৎসকের পরিবারের পক্ষে শীর্ষ আদালতে বক্তব্য জানান তিনি। ভট্টাচার্য জানান যে তাঁদের আবেদনের ভিত্তিতে আর জি কর হাসপাতালে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি বিবেচনায় এনেছে সুপ্রিম কোর্ট।  
ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘‘সারা দেশে হাসপাতালে সুরক্ষার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদালত। এই কমিটিকে সুরক্ষা সম্পর্কিত সুপারিশ জমা দিতে হবে।’’     
আর জি করে চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনে মামলার স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে শীর্ষ আদালত। মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টেও। কলকাতা পুলিশের ভূমিকাকে ভর্ৎসনা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন দেরিতে এফআইআর দায়েরের জন্য সুপ্রিম কোর্টও প্রশ্ন তুলেছে পুলিশ এবং প্রশাসনের ভূমিকায়।
প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পরদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে চলছে আর জি কর হাসপাতাল সংক্রান্ত মামলার শুনানি। জাতীয় স্তরে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের বিভিন্ন সংগঠনও হস্তক্ষেপের আবেদন জমা দিয়েছে। আর জি করে কর্মরত অবস্থায় চিকিৎসকের খুন এবং প্রশাসনের তরফে আসল অপরাধীদের আড়াল করার প্রতিবাদে আন্দোলন হচ্ছে দেশজুড়ে। বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন হাসপাতালের আউটডোর। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকরা একজোটে ক্ষোভ জানাচ্ছেন। 
ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘শুনাতিতে সারা দেশেই চিকিৎসকদের সুরক্ষার বিষয়টি এসেছে। আর জি কর কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য প্রশাসন এবং পুলিশের ভূমিকা অসন্তোষ জানিয়েছে।’’      
ভট্টাচার্য আর জি কর প্রসঙ্গেই বলেছেন, ‘‘এই হাসপাতালে আতঙ্কে হস্টেল খালি করে দিচ্ছেন চিকিৎসক এবং পড়ুয়ারা। সুরক্ষার অভাব বোধ করছেন। এই প্রসঙ্গ তোলা হলে সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেবে বলে জানায়।’’  
দেশের চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য কেন্দ্রীয় আইনেরদাবি জানিয়েছে সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো। বলা হয়েছে, কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে এক তরুণ চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের বর্বরেচিত ঘটনার পরেও উপযুক্ত ও পর্যাপ্ত পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার। উলটে তথ্য গোপনে এবং অপরাধীদের বাঁচাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। 
পলিট ব্যুরো বলেছে যে নিহত মহিলা চিকিৎসকের জন্য সংহতির পাশাপাশি যে নিরাপত্তাহীন ও সুরক্ষাহীন পরিবেশে চিকিৎসকদের কাজ করতে হয় সে ব্যাপারেও তাঁদের প্রবল অসন্তোষ প্রতিফলিত হয়েছে এই গণ প্রতিবাদে। 
সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন তুলেছে হাসপাতালে চিকিৎসকদের দীর্ঘ সময় ডিউটি দেওয়ার পদ্ধতিতেও। আর জি কর হাসপাতালে নিহত চিকিৎসক ঘটনার দিন টানা ৩৬ ঘন্টা ডিউটিতে ছিলেন। মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসকদের আলাদা রেস্ট রুম না থাকা নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত। বিচারপতিরা বলেন, কর্মক্ষেত্রে মহিলারা সুরক্ষিত না থাকলে সংবিধানে সমতার নির্দেশ পালিত হবে কিভাবে।

Comments :0

Login to leave a comment