মোহনবাগান ৩: ইস্টবেঙ্গল ১
ডার্বি জয় যেন সমার্থক করে ফেলেছে হাবাসের ছেলেরা। ফের কলকাতা ডার্বির রং সবুজ মেরুন। কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে, আইএসএল-এর ফিরতি ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলকে ৩-১ গোলে হারাল মোহনবাগান।
শুরু থেকেই আক্রমণ এবং প্রতি আক্রমণে খেলা বেশ জমে ওঠে। ম্যাচের ১৩ মিনিটে একটি পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু সেই পেনাল্টি মিস করেন লাল হলুদ থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ক্লেইটন সিলভা। দুরন্ত সেভ করেন মোহনবাগান গোলরক্ষক ভিশাল কেইথ। কিছুক্ষণ পর ফাউল করার অপরাধে হলুদ কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গলের অজয় ছেত্রী। কিন্তু যতই সময় এগোয়, ততই মাঝমাঠের দখল নিতে শুরু করে মোহনবাগান।
ফল মেলে হাতেনাতে। ম্যাচের ২৭ মিনিটে প্রথম ডেডলক ভাঙেন জেসন কামিংস এবং সবুজ মেরুনকে এগিয়ে দেন ১-০ ব্যবধানে। তবে সেখানেই শেষ নয়, ম্যাচের ৩৬ মিনিটে ফের গোল মোহনবাগানের। আর এবার লিস্টন কোলাসোর গোলে বড় ব্যবধানে লিড নেয় মোহনবাগান। কিন্তু আজ যেন জয়ের জন্যই মাঠে নেমেছিল মোহনবাগান। ফার্স্ট হাফের অতিরিক্ত সময়ে দিমিত্রি পেত্রাতোসের দুর্দান্ত গোলে ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায় হাবাস ব্রিগেড। প্রথমার্ধ শেষ হয় ৩-০ ফলাফল নিয়ে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই পাল্টা অ্যাটাকে আসার চেষ্টা করে ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে ক্লেইটন সিলভার মাপা সেন্টার ঠিকঠাক রিসিভ করেই ফিনিশ করেন সল ক্রেসপো এবং খেলায় ফেরৎ আসে ইস্টবেঙ্গল। ফলাফল দাঁড়ায় ৩-১। খেলার ৬৩ মিনিটে নন্দকুমারের হেড সেভ করেন সবুজ মেরুন গোলকিপার বিশাল। ধীরে ধীরে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে ইস্টবেঙ্গল, কিন্তু ব্যর্থ হয় বারবার। কারণ, মোহনবাগানের টিম গেমের কাছে একাধিকবার প্রতিহত হয় তাঁরা। হাবাসের তক্তাবধানে গোটা মোহনবাগান দল অসাধারণ ফুটবল উপহার দিল। কার্যত দলীয় সংহতিকে সঙ্গে করে লাল হলুদকে বোতলবন্দী করল সবুজ মেরুন।
আনোয়ার এবং কাউকো খুব ভালোভাবেই রক্ষণভাগ সামলান। সেইসঙ্গে মনবীর, অভিষেক এবং সাহাল দুরন্ত সার্ভিস দেন এই ম্যাচে। পুরো দল সঠিকভাবে রান করার ফলে, কাজটা খুব সহজ হয়ে যায় মোহনবাগানের পক্ষে।
শেষপর্যন্ত, ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে ৩-১ গোলে হারিয়ে ডার্বি জয় মোহনবাগানের।
Comments :0