ডেঙ্গু প্রতিরোধে ডিএনএ টিকার গবেষণা চলছে ভারতে। ইঁদুরের ওপর পরীক্ষাও হয়েছে। ফলাফল উৎসাহজনক, জানাচ্ছেন বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেসের বিজ্ঞানীরা।
এই প্রতিষ্ঠান যদিও একক গবেষণা চালাচ্ছে না। দেশেরই অন্য কয়েকটি প্রতিষ্ঠান যুক্ত রয়েছে গবেষণায়। আফ্রিকা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরও কয়েকটি মিলে মোট ৯টি প্রতিষ্ঠান এই গবেষণা চালাচ্ছে।
বিজ্ঞান ও পরিবেশ ওয়েবসাইট ‘ডাউন টু আর্থ’-র একটি প্রতিবেদনে ডেঙ্গুর টিকা গবেষণার তথ্য দেওয়া হয়েছে। ভারতে ২০২১ সালে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ১০ হাজার ৪৭৩। বিশ্বের ডেঙ্গুতে মৃত্যুর নিরিখে ভারত চতুর্থ।
এই প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন যে ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করে টিকার গবেষণা চলছে। ২০১১’তে এককভাবে এই প্রতিষ্ঠান গবেষণা শুরু করে সেন্ট জনস মেডিক্যাল কলেজের সহায়তায়। গবেষকদের প্রধান সুধীর কৃষ্ণ জানিয়েছেন যে ডিএনএ প্রযুক্তি নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী। যে কারণে এই প্রযুক্তিতে টিকা গবেষণায় জোর দেওয়া হয়েছে।
এ দেশে জনস্বাস্থ্যে গুরুতর সমস্যা ডেঙ্গু। গবেষক শ্বেতা রাঘবন জানিয়েছেন যে টিকা তৈরির সময় পুরো ভাইরাস নেওয়ার প্রয়োজন হয় না ডিএনএ প্রযুক্তিতে। ঠিক যে অংশ প্রয়োজন, ভাইরাসের সেই অংশই নেওয়া যায়। তার ফলে টিকা বেশি কার্যকর করার সম্ভাবনা থাকে।
এর আগে ভারতে ডিএনএ টিকা তৈরি করেছে গুজরাটের বেসরকারি সংস্থা জাইডাস ক্যাডিলা। করোনার মোকাবিলায় টিকা জাইকোভ জরুরি ব্যবহারের অনুমতি পায় ২০২১’এ। ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করে যক্ষ্মা এবং চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধের গবেষণা চলছে বিশ্বের কয়েকটি দেশে।
গবেষকরা যদিও জানিয়েছেন যে সম্ভাবনা যেমন আছে তেমন রয়েছে সমস্যাও। তার একটি হলো ভারতে ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি ধরন রয়েছে। তার মধ্যে দ্বিতীয় ধরনটি সংক্রমণের প্রধান কারণ। মানবদেহে ডিএনএ ভাইরাসের কার্যকারিতা নিয়েও সংশয় রয়েছে বৈজ্ঞানিকদের মধ্যে।
Comments :0