তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে আরও দু’টি খাল খননের কাজ শুরু হওয়ার মুখে। কিন্তু তাতে জলের সমস্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা জানিয়েছে বাংলাদেশ। ঢাকার তরফে চিঠিও পাঠানো হয়েছে নয়াদিল্লিতে।
বাংলাদেশের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গের সেচ বিভাগ তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পে আরও দু’টি খাল খননে নামছে। এর জন্য প্রায় এক হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলায় কিছু বেশি জমি সেচের আওতায় এলেও বিপর্যস্ত করতে পারে বাংলাদেশকে।
ভারতের সঙ্গে তিস্তার জল বণ্টন চুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে সেচ প্রকল্প নিয়ে নয়াদিল্লিতে কূটনৈতিকপত্রের (নোট ভার্বাল) পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশের বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেন নিজেই এই চিঠির কথা জানিয়েছেন ঢাকায়। রবিবার বিদেশ মন্ত্রকের দপ্তরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘‘বিদেশ মন্ত্রক থেকে ‘নোট ভার্বাল’-র মাধ্যমে তথ্য জানতে চেয়েছি।’’ তিনি বলেন, ‘‘এটা হয়ত অনেক দিন আগেরই পরিকল্পনা। তবে এখনও কিছু হয়নি।’’
গত ১৬ মার্চ বাংলাদেশের জলসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক জানিয়েছিলেন যে তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের আওতায় আরও দুটি খাল খননের বিষয়ে বিস্তারিত
জানতে চেয়ে ভারত সরকারকে চিঠি পাঠানো হবে। একই দিনে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন জানিয়েছিলেন, তিস্তায় খাল খননের বিষয়ে পরিস্থিতি সতর্কভাবে পর্যালোচনা করছে বাংলাদেশ।
Comments :0