গত ২১ ফেব্রুয়ারী পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের মেমারী স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় রেলের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, জবর দখল করে ব্যাবসা ও বসবাস করছেন, তাদের রেলের জায়গা ছেড়ে দিতে বলা হবে। তবে কত দিনের মধ্যে রেলের জায়গা ছেড়ে দিতে হবে, সেই সম্পর্কিত নির্দিষ্ট কোন সময় সীমা ওই নোটিশে উল্লেখ না থাকায় ধোঁয়াশা তৈরী হয়। পরে রেলের তরফে জানানো হয় ২৬ ফেব্রুয়ারি মধ্যে উঠে যাওয়ার জন্য। সেই মত বুধবার সকালে রেলের পদস্থ কর্মকর্তারা এসে পৌঁছায় মেমারীতে। আসে আর পি এফ ও জিআরপি’র আধিকারিকরাও। এর পর ধিরে ধিরে উচ্ছেদের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন তারা। আনা হয় ২ টি জে সি বি মেশিন।
২মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে রমজান মাস। উৎসবের মরসুমে রেলের উচ্ছেদ নোটিশে ঘুম ওড়ে ব্যাবসায়ীদের। এদিন সকালে উচ্ছেদের বিরোধিতা করে স্টেশন চত্বরে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন ব্যাবসায়ীরা। তাদের সাথে যোগ দেন রাজনৈতিক নেতৃত্বরাও। উচ্ছেদের বিরোধীতায় নামেন বামপন্থী কর্মী সমর্থকরাও। এদিন বামপন্থী শ্রমিক সংঘঠন সহ অনান্য রাজনৈতিক দলের শ্রমিক সংগঠন কর্মী সমর্থক ও মেমারী ব্যাবসায়ী কল্যাণ সমিতি একত্রিত হয়ে উচ্ছেদের প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।
দফায় দফায় দেওয়া হয় ডেপুটেশন। তৈরী হয় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি। এর পর মেমারী স্টেশন ম্যানেজার অফিসে পদস্থ রেলের আধিকারীকদের কাছে সকল ব্যাবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব সম্মিলিতভাবে কিছুটা সময় চেয়ে লিখিত অনুরোধ জানান। সেই মত আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময় সীমা দেওয়া হয়। স্টেশন চত্বরের বাইরে উচ্ছেদ প্রক্রিয়া স্থগিত থাকলেও স্টেশনের ওপরে থাকা প্রায় ৫৪ টি অস্থায়ী দোকান এদিন উচ্ছেদ করা হয়।
এই বিষয়ে সিআইটি’র পক্ষ থেকে সনৎ ব্যানার্জি বললেন, ‘‘রেলের তরফে যে ভাবে ব্যাবসায়ীদের উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা ঠিক নয়। পূনর্বাসনের জন্য বিকল্প ব্যবস্থার দাবি জানানো হয়েছে। পূনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ হলে আগামী দিনের বৃহত্তর আন্দোলনের মধ্যদিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
Hawker Eviction
সম্মিলিত প্রতিরোধে পিছু হটল রেল, স্থগিত উচ্ছেদ

×
Comments :0