EMPLOYEES 'DHARMAGHAT' LEFT FRONT

সরকার ভয় দেখালেও ধর্মঘট
হবেই, বললেন বামফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ

রাজ্য জেলা কলকাতা

EMPLOYEES STRIKE LEFT FRONT ধর্মঘটের সমর্থনে ১২ই জুলাই কমিটির ডাকে মিছিল আলিপুরদুয়ারে।

হুমকির তোয়াক্কা না করে ধর্মঘটে শামিল হবেন সরকারি কর্মচারী, শিক্ষকরা। সরকার ভয় দেখাতে চাইছে। তবে ভয় পাচ্ছেন না কর্মী বা শিক্ষকরা। শুক্রবারের ধর্মঘট প্রসঙ্গে এই মনোভাব জানিয়েছেন বামফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ। 

বামফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ স্পষ্ট বলেছেন, ত্রিপুরায় সন্ত্রাস আর পশ্চিমবঙ্গে সরকারি কর্মচারীদের লাগাতার তৃণমূল সরকারের হুমকির পেছনে একই মনোভাব কাজ করছে। প্রতিবাদী, বিরোধী স্বর উঠলেই তা দমন করার মনোভাব। 

১০ মার্চ, শুক্রবার, রাজ্যে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক সহ রাজ্য কোষাগার থেকে বেতনপ্রাপ্তরা। একজোটে বিভিন্ন সংগঠন শামিল ধর্মঘটে। তৃণমূল সরকার চাকরির মেয়াদে ছেদ বা ‘ডায়াস নন’ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। জেলায় জেলায় তৃণমূলের বাহিনী হুমকি দেওয়ার চেষ্টা করছে।

বৃহস্পতিবার ধর্মতলা থেকে শিয়ালদহে মিছিল হয় ত্রিপুরায় বিজেপি’র সন্ত্রাসে ধিক্কার জানিয়ে। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেছেন, ‘‘ধর্মঘটের অধিকার কর্মচারীদের আছে। চাকরিতে ছেদ করতে পারে না সরকার। ভয় দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু সরকারি কর্মচারী বা শিক্ষক সহ কোনও অংশই ভয় পাচ্ছে না। ধর্মঘট হবে।’’ তিনি বলেছেন, ‘‘ধর্মঘটে আগেই সমর্থন জানিয়েছে বামফ্রন্ট।’’

সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের প্রতিক্রিয়া, ‘‘ধর্মঘট বানচাল করতে হুঙ্কার দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলের এই আচরণের পিছনে কাজ করছে নাগপুরের ব্লু প্রিন্ট।’’ 

সেলিমের ব্যাখ্যা, ‘‘আরএসএস’র সদর দপ্তর নাগপুর থেকে বিরোধীমুক্ত ভারত তৈরির লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। ত্রিপুরায় সে লক্ষ্যেই সন্ত্রাস চলছে। এ রাজ্যে মমতা ব্যানার্জি, তাঁর দল এবং সরকারও সেই লক্ষ্যে চলছেন। তার কারণে ধর্মঘট ঘিরে এমন হুঁশিয়ারি।’’

সেলিমের সংযোজন, ‘‘হুমকির তোয়াক্কা না করেই ধর্মঘট হবে।’’ তিনি বলেছেন, ‘‘সরকারি কর্মচারীদের ন্যায্য প্রাপ্য ডিএ। এই মহার্ঘভাতা দেওয়া হলে বাজার চাঙ্গা হতো। কারণ বাজারে কেনাকাটা বাড়ত। এই টাকা টালির চালের তলায় লুকানো থাকে না বা বিদেশের ব্যাঙ্কে জমা হয় না। কেবল সরকারি কর্মচারী নয়। ক্ষতি হচ্ছে রাজ্যের অর্থনীতিরও।’’ 

সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘টাকা নেই বলে প্রচার করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। রাজ্যে সাড়ে ছয় লক্ষ সরকারি পদ শূন্য পড়ে রয়েছে। লক্ষ কোটি টাকা সরকার বাঁচিয়ে নিয়েছে, বেতনের টাকা দিতে হচ্ছে না। বাজে কথা বলছে সরকার।’’    

ত্রিপুরার পরিস্থিতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির অবস্থানে মিলের দিক নিয়েও সরব হয়েছেন সেলিম। তিনি বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে কত কথা বলেন। অথচ ত্রিপুরা নিয়ে তিনি চুপ। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ঠিক একইভাবে চুপ।’’ 

সেলিম বলেন, ‘‘যাঁঁরা এক সময়ে মমতা ছবি নিয়ে মিছিল করেছিলেন তাঁরাও শামিল হয়েছেন ধর্মঘটের ডাকে।’’

Comments :0

Login to leave a comment