চিন্ময় কর
চাষের জমি নষ্ট করে ভেড়ি তৈরির চেষ্টা রুখলেন কৃষকরাই। সবংয়ের রামভদ্রপুর মৌজায় প্রতিরোধে এগিয়ে এলেন কৃষক রমনীরাও। এককাট্টা জনরোষ দেখে সদলবলে পালাতে বাধ্য হতে হয় তৃণমূলের স্থানীয় নেতা অর্ণব বেরাকে।
তখনেও মাঠে একটি নম্বর বিহীন ট্রাক্টর। সেই ট্রাক্টর সহ তার চালক ও হেলপারকে ঘিরে রাখে জনতা। জানতে চায়, কে পাঠিয়েছে। কৃষকরা বলেন সবংয়ের রামভদ্রপুর মৌজায় ৪৭২ একর তিন ফসলা কৃষি জমিতে রাতের অন্ধকারে নোনাজল ঢুকিয়ে ভেড়ি করার চেষ্টা চালায় তৃণমূলের নেতারা। এরা সবাই মন্ত্রী মানস ভুইঞাঁর অনুগত। এই মন্ত্রীর তদারকিতে প্রায় আট শতাধিক কৃষককের ৪৭২ একর জমি জবর দখল করে মাছের ভেড়ি তৈরিতে মরিয়া চেষ্টা চলছে। ২০১৯ সাল থেকে রাতের অন্ধকারে বন্দুক ঠেকিয়ে কৃষকদের স্ট্যাম্প পেপারে সই করানোর চেষ্টা হচ্ছে।
গত ৫বছর ধরে কৃষকরা আন্দোলনের পাশাপাশি আইনি লড়াইয়েও শামিল থেকেছেন। ভেড়ি তৈরির মতলব আটকে রেখেছেন। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তবু এর আগেও মেশিন নামিয়ে ভেড়ি তৈরির চেষ্টা হয়।
শনিবার ট্রাক্টর সহ দু’জন কে আটক করে রাখেন গ্রামের মানুষ। সবং থানায় অভিযোগ জানায় তারা। নম্বর বিহীন ট্রাক্টরের ছবি তুলে সবং থানা সহ বিডিও, ব্লক, মহকুমা ও জেলা ভূমি দপ্তরের পাঠিয়ে এই ঘটনায় জড়িত দের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।
জবরদস্তি ভেড়ি তৈরি রুখতে কৃষক এবং খেতমজুর সমাজের জোট আরও মজবুত করার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষকনেতা সুশান্ত ঘোষ। সতর্ক থাকার পাশাপাশি নজরদারি চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
Comments :0