UNEMPLOYMENT NCEAR

স্থায়ী কর্মী বাড়াবে এমন সংস্থা নেমেছে অর্ধেকে, দেখাচ্ছে সমীক্ষা

জাতীয়

কর্মসংস্থানের দাবিতেই পদযাত্রা করছে ডিওয়াইএফআই।

স্থায়ী পদে কর্মী নিয়োগ করবে এমন সংস্থার সংস্থা গত ৬ মাসে অর্ধেক হয়েছে। মোট সংস্থার ৩০.৯ সংস্থা স্থায়ী পদে নিয়োগ বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছিল এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে। জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে এমন সংস্থা কমে মোটের ১৫.৯ শতাংশ হয়েছে। 

ন্যাশনাল কাউন্সিল অব অ্যাপ্লায়েড ইকনমিক রিসার্চের (এনসিএইআর) সমীক্ষায় কাজের বাজারে এই সঙ্কট ধরা পড়েছে। সমীক্ষকদের অনুমান, আগামী ৬ মাস কাজের বাজারে সঙ্কট থাকবে। সংগঠিত ক্ষেত্রে নতুন নিয়োগের সম্ভাবনা কমই থাকবে। ৮৩.৯ শতাংশ সংস্থাই মনে করছে স্থায়ী পদে নতুন নিয়োগ আগামী ৬ মাস বিশেষ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। 

আবার এস অ্যান্ড পি গ্লোবালের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে অক্টোবরে পরিষেবা ক্ষেত্রের বৃদ্ধি কমেছে। অক্টোবরে নতুন কাজ সৃষ্টি হয়েছে তিন মাসে সবচেয়ে কম।

এনসিএইআর’র সমীক্ষা অনুযায়ী, অস্থায়ী কর্মীর সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে এমন সংস্থার সংখ্যাও কমেছে সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে। আগের ত্রৈমাসিকের ৩৫.৬ শতাংশের তুলনায় সেপ্টেম্বরে নেমে হয়েছে ৪৫ শতাংশ। 

এমসিইএআর’র ১২৬তম রাউন্ডের এই সমীক্ষা হয়েছে সেপ্টেম্বরে। ৫০০টি সংস্থার মধ্যে সমীক্ষা চালিয়েছে এই গবেষণা প্রতিষ্ঠান। দেখা গিয়েছে দক্ষ শ্রমিকের নিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী এমন সংস্থাও কমছে। জুন ত্রৈমাসিকে ২৭.৯ শতাংশের তুলনায় সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে এমন সংস্থা ২৪.৯ শতাংশ।  

 এনসিইএআর’র সমীক্ষার প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। তিনি বলেছেন, ‘‘মাত্র ৩ মাসে স্থায়ী কর্মী বাড়াতে চায় এমন সংস্থা ৩০.৯ শতাংশ থেকে ১৫.৯ শতাংশ হয়েছে, প্রায় অর্ধেক। এমনকি অস্থায়ী শ্রমিক বাড়াতে চাইছে এমন সংস্থাও কমছে। ‘মোদীনোমিক্স’ আয় সঙ্কুচিত করছে। ফলে কমছে চাহিদা। অর্থনীতি ধ্বংস হচ্ছে।’’

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিভিন্ন সময়ে ভাষণে যা দাবি করছেন বাস্তব অর্থনীতিতে তার উলটো ছবি দেখা যাচ্ছে। মোদীর এই অর্থনীতিকে ‘মোদীনমিক্স’ বলে অভিহিতও করা হচ্ছে। শনিবারই একটি জাতীয় সংসবাদ প্রতিষ্ঠান আয়োজিত সম্মেলনে ভাষণ দিয়েছে মোদী। যথারীতি তাঁর দশ বছরে ব্যাপক বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘মধ্যবিত্ত অংশের বৃদ্ধি এবং গরিবের হ্রাসের কারণে বিপুল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্ভব হচ্ছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘স্টার্ট আপ থেকে মোবাইল তৈরির কারখানা স্থাপনে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে ভারত।’’

ইয়েচুরি মনে করিয়েছেন মোদীর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচির লক্ষ্য ছিল কারখানা উৎপাদন ক্ষেত্রে ১৪.৯ শতাংশ বৃদ্ধি। মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ২৫ শতাংশ হবে এই ক্ষেত্রের অবদান। বাস্তবে এই ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ১০ বছরে ৫.৯ শতাংশ। মোট জাতীয় উৎপাদন বা জিডিপি’র ১৬.৪ শতাংশ এই ক্ষেত্র থেকে আসছে।’’ ইয়েচুরির মন্তব্য, এই বাস্তবতা ভাষণ দিয়ে ভুমিয়ে দিতে চান মোদী এবং তাঁর অনুগামী সংবাদমাধ্যম। 

সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, ‘‘এই লোকসভা নির্বাচনে কর্মহীনতা খুবই বড় বিষয়। কাজের সঙ্কট, নিশ্চয়তা বা সুরক্ষা রয়েছে এমন কাজ মারাত্মক কমেছে। কাজ বাড়ানোর মতো নীতি তৈরির পক্ষে লড়াই করছে বামপন্থীরা।’’

Comments :0

Login to leave a comment