Football Stadium Protest

যুবভারতীর উত্তাপ ছড়ালো রাজ্যে, মিছিল সমর্থকদের, জমায়েত রাতেও

রাজ্য

বিটি রোডে মিছিল রবিবার রাতে।

যুবভারতীর সামনে তো বটেই। রাজ্যের বহু জায়গায় ফুটবল সমর্থকরা নিজের নিজের ক্লাবের পতাকা নিয়ে হাঁটলেন। হাঁটলেন নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে। 
রবিবার রাতেও বিভিন্ন এলাকায় জমায়েতের খবর আসছে। বিটি রোড, যাদবপুর, বেহালা, কলেজ স্ট্রিটে বহু মানুষ রাস্তায়।  রাত প্রায় বারোটায় ধূপগুড়ি শহরে  হাজারের বেশি  মহিলা মশাল হাতে মিছিল করছেন।
ঝাড়গ্রাম শহরের পাঁচ মাথার মোড়ে এক দৃশ্য।  আর জি করে ধর্ষণ হত্যার বিচার চেয়ে জনরোষ।  রাত ১২ টায় হাজার হাজার মহিলা, যুবতী, স্কুল কলেজ পড়ুয়া সব রাস্তায়। 
তৃণমূল রবিবার দুপুরে হুমকি দিয়ে সভা করে ছিল। প্রতিবাদীদের ধোলাই হবে পিটাই হবে হুমকি দেয়। তার প্রতিক্রিয়ায় জনরোষ আছড়ে পড়লো।
চিকিৎসকদের, প্রতিবাদী ছাত্র-যুব-মহিলাদের তলব করছে পুলিশ। সোমবারই লালবাজারে যাবে ডা. সুবর্ণ গোস্বামী এবং কুনাল সরকার। চিকিৎসকদের যৌথ মঞ্চ সোমবার এই দুই চিকিৎসকের সঙ্গেই লালবাজারে যাওয়ার ডাক দিয়েছে।
বামপন্থী ছাত্র-যুব-মহিলা কর্মীরাই এখন পুলিশের বিশেষ লক্ষ্য। সোমবার পুলিশ গিয়েছে এসএফআই সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাসের বাড়িতে। 
যুবভারতীতে রবিবারই হওয়ার কথা ছিল ডুরান্ডে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচ। গ্যালারিতেই উঠবে বিচারের দাবি। ভাগাভাগি ভুলে দুই দলের সমর্থক তুলবেন আর জি করে নির্যাতিতার বিচারের দাবি। আসল অপরাধীদের আড়াল করছে সরকার, সর্বত্র এই ক্ষোভই ছড়িয়ে পড়ছে। খেলা বন্ধের ঘোষণা হয় শনিবার। তাতে ক্ষোভ আরও বেড়ে গিয়েছে। 
যুবভারতীতে সমর্থকরা জানিয়েছেন যে তাঁদের কাউকে কাউকে সোশাল মিডিয়ার পোস্ট থেকে চিহ্নিত করে হুমকি দিয়েছে পুলিশ। তবে তাতে কাজ হয়নি। যুবভারতীর সামনে দু’দলের সমর্থকদের সঙ্গে যোগ দেন মহামেডান সমর্থকরাও। এক সুর এক দাবি, বিচার চাই। তাঁদেরই তাড়া করেছে পুলিশ। জোর করে তুলে ভরেছে প্রিজন ভ্যানে। তারপরই এদিন দেখা গিয়েছে জলপাইগুড়ি থেকে বসিরহাট, সর্বত্র ফুটবল সমর্থকরা পথে নেমে দাবি তুলছেন বিচারের। 
সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, ‘‘মহম্মদ সেলিম বলেছেন, পুলিশ বলেছিল বাহিনী কম। সে কারণে খেলার ব্যবস্থা করা যাবে না। বাস্তবে দশগুন পুলিশ ছিল। প্রতিবাদকে আটকানোর জন্য পুলিশকে ব্যবহার করা হলো। অথচ খেলা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার বেলা পুলিশ নেই। আসলে মুখ্যমন্ত্রী ভয় পাচ্ছেন।’’

তিনি বলেছেন, ‘‘পুলিশ মন্ত্রীকে পদ ছাড়তে হবে। যতজন আহত, পুলিশি মামলায় পড়বেন, তাঁদের সবার দায়িত্ব নেব আমরা।’’

নৈহাটিতেও ফুটবল সমর্থকরা মিছিল করেছেন। নৈহাটি রেল মাঠ থেকে বরদা ব্রিজ হয়ে অরবিন্দ রোড পর্যন্ত ছিল এই মিছিল। মিছিলের বেশিরভাগ সদস্যরাই ছিলেন মহিলা ও ছোট্ট কন্যা শিশুরা। সবার গলাতেই ছিল একটাই স্বর ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’- বিচার চাই।  
যুবভারতীর সামনে মোহনবাগান সমর্থকের কাঁধে চড়ে এক ইস্টবেঙ্গল সমর্থক স্লোগান দিচ্ছিলেন। আর জি কর হাসপাতালের চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ হত্যা, প্রমাণ লোপাটের ব্যবস্থা, প্রতিবাদীদেরওপর আর জি কর হাসপাতালেই ১৪ আগস্ট মধ্যরাতে হামলা আর পুলিশের শাসানি, কোনওকিছুই দমাতে পারছে না প্রতিবাদে শিখা।
বরাহনগর অঞ্চলের ক্লাব সংগঠন ক্রীড়া মানুষ একত্রিত হয়ে প্রগতির সংঘের মাঠ কে সাক্ষী রেখে বি টি রোড মিছিল করেছেন। দুই দলের পতাকা নিয়ে মিছিল বের হয় বসিরহাটেও।

Comments :0

Login to leave a comment