Trafficking Attempt

কাজের টোপ দিয়ে পাচারের ছক, উদ্ধার নাবালক-নাবালিকা

জেলা

মোটা টাকার টোপ দিয়ে আদিবাসী সম্প্রদায়ের দুই নাবালিকা ও এক নাবালক পাচার করতে গিয়ে জিআর পি অফিসারদের হাতে ধরা পড়ে। সোমবার কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসে কলকাতা যাওয়ার জন্য আলিপুরদুয়ার জংশন স্টেশনে এসেছিল তারা। কিন্তু কর্তব্যরত জিআরপি অফিসারদের ওই নাবালক-নাবালিকাদের কথাবার্তায় অসংলগ্নতা দেখে সন্দেহ হয়। তারপরেই জিআরপি তাদের উদ্ধার করে জেলা সিডব্লুসির হাতে তুলে দেয়। আলিপুরদুয়ার জংশন জিআরপির ইন্সপেক্টর জানিয়েছেন ওই নাবালক-নাবালিকাদের কথাবার্তায় অসংলগ্নতা দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। আমরা পরে পাচারের ঘটনাটি বুঝতে পারি।  পাচারচক্রের আসল মাথাকে ধরা যায়নি। জিআরপি’র তৎপরতা দেখে স্টেশন থেকে সঙ্গে সঙ্গে উধাও হয়ে যায় পাচারচক্রের মুল পান্ডা। উদ্ধার হওয়া নাবালক জলপাইগুড়ির বানারহাটের বাসিন্দা। দুই নাবালিকার মধ্যে একজন আলিপুরদুয়ার (২) নম্বর ব্লকের পানবাড়ির, অন্যজন বীরপাড়া ব্লকের মুজনাই চা বাগানের বাসিন্দা। সকলেই নবম শ্রেণিতে পড়ে।
আলিপুরদুয়ার জেলার চা বাগানগুলিতে মেয়ে পাচার চক্র অনেকদিন থেকেই সক্রিয়। পাচারকারিরা চা বাগানে ঘুরে খোঁজখবর নেয় অসহায় পরিবারের। সুযোগ বুঝে মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে পরিবারের কম বয়সি মেয়েদের কাজের নাম করে দিল্লি কিংবা মুম্বইয়ের যৌনপল্লিতে বেচে দেয়। আর নাবালকদের চালান করে দেওয়া হয় পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতে। চা বাগানের শ্রমিকরা সারা বছর অর্থিক সমস্যার মধ্যে দিন কাটায়।

Comments :0

Login to leave a comment