জলপাইগুড়ি কুমুদিনী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী সুস্মিতা চন্দ এবছরে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীয় ৪৬১ নম্বর পেয়ে সকলের নজর কেড়েছে। জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন খরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবনগর এলাকায় তার বাড়ি। সুস্মিতার বাবা দিনমজুরের কাজ করেন। অভাবের সংসার। অতি কষ্টে সংসার চালিয়ে সুস্মিতাকে পড়াশোনায় উৎসাহিত করে গেছেন। এ বিষয়ে সুস্মিতা বলেন, পড়াশোনা করতে অনেক কষ্ট হয়েছিল। একটি ঘরে সকলকে থাকতে হয় এখানেই পড়াশোনা করতে হয়। তার মধ্যেও সাফল্য আনতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে। সুস্মিতার বাবা বলেন, আমি দিনমজুরের কাজ করি সংসার কোন মতেই চলে। এর মধ্যে মেয়ের এই সাফল্যে আমি দারুণভাবে খুশি। সুস্মিতার ইচ্ছে শিক্ষিকা হবে। তবে অভাবের সংসার আগামীতে কি হবে তা এখনই আমি বলতে পারছি না। কোন ব্যক্তি বা সংস্থা যদি তাদের পাশে এসে দাড়ান তাহলে সুস্মিতার পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। তার গৃহ শিক্ষক বলেন, সুস্মিতা আগা গোরাই পড়াশোনায় ভালো ছিল। এ বছর ও সকলের নজর কাড়া সাফল্য আনতে পেরেছে। আমি দারুণভাবে খুশি। তবে তাদের আর্থিক অবস্থা একদমই সচ্ছল নয়। তাই তাদের পাশে কেউ দাঁড়ালে আরও ভালোভাবে পড়তে পারবে সুস্মিতা।
অন্যদিকে উচ্চ মাধ্যমিকে রাজাগঞ্জের সেরা হওয়ার পাশাপাশি জেলায় নবম হলেন বেলাকোবা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী তৃষ্ণা রায়। তার মোট প্রাপ্ত নম্বর পাচঁশোর মধ্যে ৪৭৯। ভবিষ্যতে ডব্লুবিসিএস অফিসার হওয়ার স্বপ্ন। তৃষ্ণার বাড়ি বেলাকোবার শিকারপুর চা বাগানে। মা চা শ্রমিক এবং বাবা ছোটো ব্যবসায়ী। বাড়িতে বাবা মা ছাড়াও রয়েছে আরও দুটো দিদি। অভাবের এই সংসারে ভালো সাফল্যে বাগান জুড়ে খুশির হাওয়া।
Comments :0