পনেরো দিন নিখোঁজ ছিল নাবালক। সোমবার জানা গেল সতেরো বছরের সুজয় শীলের মৃত্যু হয়েছে। রেললাইনের ধারে মিলেছে দেহ। মৃত্যুর খবর পৌঁছানোর পরই তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় হুগলীর মগরা-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সুকান্ত পল্লীতে। পুলিশ লাঠি চালায় বাসিন্দাদের ওপর।
গত ১৪ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিল বছর সতেরোর নাবালক সুজয় শীল। নাবালকের পরিবার মগরা থানায় নিখোঁজ থাকার অভিযোগ দায়ের করে। সোমবার চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালের মর্গে দেহ শনাক্ত করে পরিবার। জানা গিয়েছে, অভিযোগ দায়ের হওয়ার দিনই গভীর রাতে মগরা রেল লাইন থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল জিআরপি। পরিবার এবং স্থানীয় মানুষের ক্ষোভ, এতদিন পরিবারকে খবর দেওয়া হয়নি কেন?
কিশোরের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল স্থানীয় এক কিশোরীর। তার বাড়ির সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান মৃতের পরিবার এবং স্থানীয়রা। অভিযোগ, কিশোরকে খুন করা হয়েছে। তার পিছনে ওই পরিবারের হাত রয়েছে। মৃত নাবালকের পরিবারের অভিযোগ, সম্পর্ক মানতে নারাজ ছিল কিশোরীর পরিবার। কিশোরকে তারাই খুন করে রেল লাইনে ফেলে দিয়েছে। কিশোরের পরিবারের প্রশ্ন, কেন তাঁদের না জানিয়েই দেহের ময়নাতদন্ত করা হলো? তাঁদের অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে কিশোরীর পরিবারের যোগসাজশ রয়েছে।
মাসখানেক আগে এমনই ঘটনা দেখা গিয়েছিল কলকাতার হরিদেবপুরে। বাগুইআটিতেও দুই কিশোরের হত্যাকাণ্ডেও পুলিশের এমনই উদাসীনতায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন স্থানীয়রা। বিধাননগর কমিশনারেটের আওতায় বাগুইআটির দুই কিশোর নিখোঁজ হওয়ার পর পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। তাঁদের মৃতদের উদ্ধার হয় অন্যত্র। বাড়ির লোকজনকে জানানো হয় বেশ কয়েকদিন পরে।
অভিযোগ, এদিন মগরার সুকান্ত পল্লীতে নিহতের পরিজনরা কিশোরীর বাড়ির সামনে গেলে তাঁদের মারধর করা হয়। এরপরেই মগরা থানায় পুলিশ উদ্ধারে গিয়ে বাধার মুখে পরে পুলিশ। শুরু হয় খন্ডযু্দ্ধ। ইট বৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ। লাঠিচার্জ করে পুলিশ। আহত হন কয়েকজন। তাদের মগরা ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনায় কৃষ্ণদাস কলোনিতে উত্তেজনা তৈরি হয়। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
Comments :0