LEFT FRONT PANCHAYAT

বিকল্পের সন্ধান

রাজ্য

বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে বিমান বসু এবং বামফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ।

-নিয়মিত গ্রাম সংসদ বসিয়ে মানুষের প্রকৃত স্বশাসন তৈরি করা হবে।  

-জমি অধিগ্রহণ বা গ্রামীণ জমিতে অকৃষিজনিত প্রকল্পের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৮০ শতাংশ মানুষের সহমতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবার ধারা কঠোরভাবে রূপায়িত হবে। 

-নারী ও প্রবীণ নাগরিকদের বিভিন্ন ধরনের সহায়ক প্রকল্প গ্রহণ করা ও তাকে কার্যকরীভাবে রূপায়িত করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষের জন্য চালু জনকল্যাণমুখী প্রকল্প অব্যাহত থাকবে এবং সমস্ত সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প হবে প্রয়োজন ভিত্তিক এবং রূপায়ণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গ্রাম শিক্ষা কমিটি গঠনের ব্যবস্থা পুনরায় চালু করা হবে।-   

-    

-আদিবাসী ও তফসিলি জাতির ছাত্রদের স্কুলের হস্টেল পুনরায় চালু করা হবে। 

-সহায়সম্বলহীন বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য বিনামূল্যে রান্না করা খাবার দেবে পঞ্চায়েত। 


 

-কৃষকের স্বার্থে সমবায় থেকে চাষিদের দাদন, বিমার সুযোগ, ন্যায্য মূল্যে সার ও কৃষি উপকরণ পাওয়ার সুবিধা দেওয়া হবে।


 

-বর্তমানে মৌখিক চুক্তিতে গ্রামের খেতমজুর এবং গরিব চাষি জমি চাষ করেন। তাদের সরকারি অনুদান বা বিমার সুযোগ পেতে বৈধ নথিপত্রের ব্যবস্থা করা হবে।


 

-বনভূমিতে চাষ ও বসবাসকারী আদিবাসীদের সংশ্লিষ্ট জমিকে চিহ্নিত করে পাট্টা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।


 

-খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প এবং বন, পাহাড়, জঙ্গলভিত্তিক পর্যটনশিল্প গড়ে তোলার কাজে পঞ্চায়েত অগ্রাধিকার দেবে।

-জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা আইনে বছরে ১০০ দিনের পরিবর্তে ২০০ দিন কাজ ও দৈনিক ৬০০ টাকা মজুরি প্রদানের লড়াই চালিয়ে যাবে। রেগার কাজে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আবাস যোজনার কাজ রাজ্যে পুনরায় চালু করা হবে।


 

-বামফ্রন্ট সরকার ‘চাষ ও বসবাসের ভূমিদান প্রকল্পে’ খেতমজুর, গ্রামীণ কারিগর ও মৎস্যজীবীদের বিনামূল্যে ৫ কাঠা করে জমি দিয়েছে। এই প্রকল্প রূপায়ণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। 

-সরকারের হাতে থাকা জমি ভূমিহীন, বাস্তুহীনদের বঞ্চিত করে বৃহৎ ব্যবসায়ী, কোম্পানি বা কর্পোরেটকে মালিকানা স্বত্ব দেওয়ার আইন বাতিল করা হবে।

-বেকার যুবকদের স্বনির্ভর দল ও সমবায় তৈরি হবে। 

-মাইক্রোফাইন্যান্সের চড়া সুদের লুট বন্ধ করা হবে। মহিলাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে- প্রতিটি গোষ্ঠীকে অর্থকরী কাজের সঙ্গে যুক্ত করা হবে।

-গৃহহীন প্রত্যেক পরিবারের জন্য বাড়ি নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে।

-সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে বিমার ব্যবস্থা করা হবে। কর্মস্থলে যে কোনও সমস্যায় পঞ্চায়েত পাশে থাকবে। যারা ফিরে আসছেন, তাদের বিকল্প কাজের ব্যবস্থা করা হবে।


 

Comments :0

Login to leave a comment