উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সদর বারাসত পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা স্তূপিকৃত হয়ে আছে। ফলে জমা আবর্জনা জমে দূর্গন্ধ আবহওয়া গোটা পরিবেশকে দূষিত করছে। বারাসত জেলা সদর হওয়ার কারনে প্রতিদিন প্রায় লক্ষাধিক মানুষের তাঁদের প্রয়েজনে হয় প্রশাসনিক ভবন নয়তো আদালত কিংবা গুরুপূর্ণ সরকারী দপ্তরে যাতযাত করেন। সরকারী কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহু ছাত্র- ছাত্রীর যাওয়া আসা। তাঁদেরও এই নরক যন্ত্রনা ভোগ করতে হচ্ছে। এই যন্ত্রনার অবসানে মঙ্গলবার বারাসত বামফ্রন্ট্র পক্ষ থেকে নাগরিকদের নিয়ে পৌরসভা অভিযানে মিছিল করে। ৪ দফা দাবির ভিত্তিতে পৌরপ্রধানের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। এদিনের পৌরসভা অভিযানের মিছিল হরিতলার মোড় থেকে বেরিয়ে সোজা পৌরসভায় পৌঁছে যায়। সেখানে এক সভায় বক্তব্য রাখেন বামফ্রন্টের নেতা পুলক কর, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, বরুন ভট্টাচর্য প্রমুখ। সভাপতি ছিলেন বামফ্রন্টের আহ্বায়ক দেবব্রত বসু। এদিন পৌরপ্রধানের কাছে ৪ দফা দাবিতে ডেপুটেশন দেন রাজু পাইন, অনুপ দে, মৃণাল মজুমদার, মিহির চক্রবর্তী ,রত্না ভট্টাচার্য সহ ৭ জনের প্রতিনিধিদল।
নেতৃবৃন্দের অভিযোগ বারাসত শহর জঞ্জাল নগরিতে পরিনত হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ওয়ার্ডের গুরুপ্তপূর্ন রাস্তাগুলি ভগ্নপ্রায়। বর্ষার মধ্যে জল জমে রাস্তাগুলির বড় বড় গর্ত হওয়াতে যানচলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে। অবসরপ্রাপ্ত পৌর কর্মচারীরা পেনশন পাওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হয়েছে। দৈনিক মজুরিতে কর্মরত শ্রমিকরা নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন না। প্রতি ২মাস ৩ মাস অন্তর তাদের বেতন দেওয়া হচ্ছে। এই সমস্ত সমস্যা সমাধানে দ্রুত সমাধানের জন্য পৌরপ্রধানের কাছে প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে।
Comments :0